বিয়ে একটি সহজ কাজ,আমরাই একে কঠিন করেছি।
বিবাহ পড়ানোর পদ্ধতি
বিবাহ মজলিস অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই মহর নির্ধারিত হয়ে যাবে। মেয়ের অভিভাবক মেয়ের নিকট থেকে আগেই দুই বিষয়ের অনুমতি নিয়ে রাখবে। প্রথমতঃ প্রস্তাবিত ছেলের সঙ্গে মেয়ে বিবাহে সম্মত আছে কিনা দ্বিতীয়তঃ উক্ত অভিভাবক মেয়ের উকিল হিসেবে বিয়ের মজলিসে ছেলের নিকট মেয়ের পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব দিবেন। অতঃপর বিবাহের মজলিসে যদি সম্ভব হয় তাহলে মেয়ের পিতা বা ভাই বা অভিভাবক নিজেই খুতবা পড়ে মেয়ের উকিল হিসেবে ছেলেকে প্রস্তাব দেবেন। আর মেয়ের পিতা যদি খুতবা পড়তে না পারেন তাহলে ছেলের পিতা বা অন্য কোন আলেম সাহেব বিবাহের খুতবা পড়বেন। খুতবার পরে মেয়ের অভিভাবক নিজে ছেলের কাছে প্রস্তাব দেবেন যে, আমি আমার অমুক মেয়েকে এত টাকা দেন মোহরের বদলে তোমার নিকট বিবাহ দিচ্ছি বা বিবাহ দিলাম। তখন ছেলে বলবে আমি কবুল করলাম। ঈজাব এবং কবুল একবার বলাই যথেষ্ট। অনেক স্থানে তিনবার বলানো হয়। এর কোন প্রয়োজন নেই। আর যদি এমন হয় যে, মেয়ের অভিভাবক নিজে ছেলেকে প্রস্তাব দিতে পারেন না, তাহলে যিনি খুতবা পড়াবেন মেয়ের পক্ষ থেকে তাকেই অনুমতি দিয়ে দেবেন যে, আপনি আমার অমুক মেয়ের বিবাহ এত টাকা মোহরের বিনিময়ে এই ছেলের সাথে করিয়ে দিন। সেক্ষেত্রে আলেম সাহেব আগে খুতবা পড়বেন তারপরে মেয়ের উকিল হিসাবে ছেলের নিকট প্রস্তাব করবেন যে, আমি এত টাকা মহরের বিনিময়ে অমুকের অমুক মেয়ের বিবাহ আপনার সাথে দিচ্ছি - আপনি রাজি আছেন বা কবুল করলেন? ছেলে স্পষ্ট আওয়াজে বলবে যে, আমি কবুল করলাম। তার এই কবুল বলাটা যেন কমপক্ষে দুইজন স্বাক্ষী শুনতে পান সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। ছেলে কবুল বলার পরে উপস্থিত সকলে তাদেরকে হাদীসে বর্ণিত দু‘আ দিবেন। বারাকাল্লাহু লাকা, ওয়া বারাকাল্লাহু আলাইকা ওয়া জামা‘আ বাইনাকুমা ফী খাইর।
অনেক জায়গায় বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পরে ছেলে উঠে দাঁড়িয়ে উপস্থিত সকলকে সালাম করে। এর কোন প্রয়োজন নেই। এভাবে বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পরে হাজেরীনদের মধ্যে খুরমা বণ্টন করে দেয়া হবে। অতঃপর দু‘আ ও মুনাজাতের মাধ্যমে মজলিশ শেষ করা ভাল।