Monday, July 5, 2021

সন্তান লালন পালনের সঠিক পদ্ধতিঃ how to raise children

 

সন্তান লালন পালনের সঠিক পদ্ধতিঃ
 
★স্ত্রী হিসেবে পুণ্যবতী স্ত্রী চয়ন করা।
★আল্লাহর নিকট নেক সন্তানের জন্য দোয়া করা।
★সন্তান লালন-পালনে আল্লাহর নিকট সাহায্য চাওয়া।
★ সন্তানের জন্য দোয়া করা এবং বদ দোয়া করা থেকে বিরত থাকা।
★সুন্দর নাম এবং উপনাম ব্যবহার করা।
★ তাদের অন্তরে ঈমান, সঠিক আক্বীদা এবং উত্তম চরিত্র গেঁথে দেয়া।
★ তাদেরকে মন্দ চরিত্র থেকে দূরে রাখা।
★তাদেরকে শরয়ী আযকার এর মাধ্যমে ( বিশেষ করে ছোটদেরকে) সুরক্ষিত করা।
★ আল্লাহর কুরআন মুখস্থের ব্যপারে তাদেরকে উৎসাহিত করা।
★ তাদের প্রতিভা বিকাশে যেটা তাদের জন্য প্রযোজ্য, সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দেয়া।
★ ঘর থেকে চরিত্র বিধ্বংসী সামগ্রী দূর করে তার পরিবর্তে উপকারী কিছু রাখা।
★অতিরিক্ত সাজসজ্জা এবং চলমান চরিত্র বিধ্বংসী বস্তু থেকে বিরত রাখা, সাহসিকতা এবং সাদাসিধে জীবনে অভ্যস্ত করা।
★ অযথা কথা বলা, অতিরিক্ত ঘুমান এবং অনর্থক মানুষের সাথে মেলামেশা থেকে বিরত রাখা।
★ ছোট থেকেই মসজিদে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা। বড় হলে তাদেরকে মসজিদে নিয়ে যাওয়া।
★ তারবিয়তের ব্যাপারে আদর্শ অনুসরণ করা, কথার বরখেলাফ হওয়া থেকে বিরত থাকা।
★ তাদেরকে কথা বলার শালীনতা শেখাতে হবে। নির্লজ্জতা ও অসামঞ্জস্য কথা বলা থেকে দূরে রাখা।
★ তাদের সাথে পরামর্শ করা, বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে তাদেরকে অভ্যস্ত করা। সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া।
★ তাদের মেজাজ বুঝে তাদের সাথে আচরণ করা।
★ তাদের বয়স অনুপাতে তাদের সাথে ব্যবহার করা।
★ তাদের সাথে বসা, তাদের মধ্যে ইনসাফ করা এবং তাদের সহানুভূতি বা আকর্ষণকে মূল্যায়ন করা।
★ উত্তমভাবে তাদের প্রতি খরচ করা।
★ মনযোগ সহকারে তাদের কথা শোনা।
★ নিয়মিত তাদের খোঁজখবর নেয়া।
★ সন্তানের সৎসংগীদের মর্যাদা দেয়া। সন্তানকে খারাপ সংগ থেকে দূরে রাখা।
★ সন্তানের ভুলগুলো বড় করে না দেখা।
★ ভুল করলে তাদেরকে সংশোধনের সূযোগ দেয়া।
★ প্রয়োজন অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা।
★তাদের জন্য উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা। তাদের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা।
★ তাদের মান অনুযায়ী ঘরে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা এবং তাদের উপযুক্ত করে মজলিসের ব্যবস্থা করা।
★ মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া। মাহরাম ব্যতীত একাকী ঘরের বাইরে যাইতে না দেয়া।
★ মেয়েরা ছেলেদের মতো, ছেলেরা মেয়েদের মতো করে চলবে না। সবাইকে কাফিরদের সাদৃশ্য হয়ে চলতে নিষেধ করবে।
★দ্বীনদার, চরিত্রবান বিয়ের প্রস্তাব এলে, মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করা। আর ছেলেরা প্রাপ্তবয়স্ক হলে যোগ্যতা, সামর্থ্য বিবেচনা করে বিয়ের ব্যবস্থা করা।
★ সন্তানের সংশোধনের ব্যাপারে হতাশ না হওয়া। দ্রুত ফলাফল পাওয়া থেকে বিরত থাকা।
★ ভালো কাজে সন্তানকে সহযোগিতা করা। উৎসাহিত করা ও তাদেরকে পুরস্কৃত করা।
★তারবিয়ত সম্পর্কে যাদের অভিজ্ঞতা আছে তাদের সাথে পরামর্শ করা। এ বিষয়ে লিখিত ভালো বই অধ্যয়ন করা।
★ তারবিয়তের ফজিলত জানা এবং তারবিয়ত না থাকলে এর পরিণাম সম্পর্কে ধারণা রাখা।
★মোটকথা একজন পিতা তার সন্তানের দ্বীন এবং দুনিয়ার উপকারে যা করণীয় তাই করবে। আর যা তাদের জন্য ক্ষতিকর তা প্রতিহত করবে।
আল্লাহ তা'য়ালা সবাইকে নেক সন্তান দান করুন। সন্তানদেরকেও নেক সন্তান হিসেবে কবুল করুন। আমীন।
মুহাম্মদ ইউসুফ।

যেমন প্রশ্ন তেমন উত্তর

 

যেমন প্রশ্ন তেমন উত্তর
 
ক/ ইমাম আ'মাশ রহ. কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, ইবলিসের বউ'র নাম কী? 
 
জবাবে তিনি বললেন, আমি ইবলিসের বিয়েতে শরীক হইনি, তাই বলবো কি করে? (দ্র. সিয়ারু আ'লামিন নুবালা ৪/৪১৪)
 
খ/ ইমাম আবু হানিফা রহ. কে এক লোক প্রশ্ন করল, কাপড় ওপরে রেখে নদীতে উলঙ্গ হয়ে গোসল করলে মুখ কোন মুখী রাখবো? কেবলামুখী না কেবলা থেকে সরিয়ে? 
 
আবু হানিফা রহ. বললেন, উত্তম হল তোমার মুখ কাপড়মুখী করে রাখবে যাতে কাপড়গুলো কেউ নিয়ে না যায়। (দ্র. আলমিরাহু ফিল মিযাহ পৃ. ৪৩)
 
 
গ/ ইমাম শা'বী রহ. কে এক লোক জিজ্ঞেস করল, এহরাম অবস্থায় কেউ কি চুলকাতে পারবে? 
 
জবাবে বললেন, হ্যাঁ পারবে। লোকটি পুনরায় জিজ্ঞেস করল, কতটুকু চুলকাতে পারবে? শা'বী রহ. বললেন, যতক্ষণ না ভেতরের হাড্ডি দেখা যাবে ততক্ষণ চুলকাতে পারবে। (দ্র. আলমিরাহু ফিল মিযাহ পৃ. ৩৯)