.
১
হযরত জাবের রা.থেকে বর্ণিত একটি হাদীস নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তুমি কুমাড়ি বিয়ে করলে তুমি তাকে হাসাতে আর সেও তোমাকে হাসাতো, তুমি ও সে পরস্পর খেলাধুলাও করতে বা বিনোদন করতে!
২. কোন ব্যক্তি যদি তাঁর স্ত্রীতে নিজের শারিরিক চাহিদা পূরণ করে তবে তিনি সাদাকার সওয়াব পাবেন। সাহাবীদের প্রশ্নে উত্তরে রাসুল স.বললেন সে যদি অবৈধভাবে কিছু করতো তবে কি তার গোণাহ হতো না?
৩. ﴿هُنَّ لِبَاسٌ لَكُمْ وَأَنْتُمْ لِبَاسٌ لَهُنَّ‘ওরা (স্ত্রীরা) তোমাদের লেবাস এবং তোমরা তাদের লেবাস। অর্থাৎ সুখে দুঃখে সর্বত্রই একে অপরের সব থেকে সৎ সঙ্গী।
৪। ইরশাদ হচ্ছে, আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।’ (সুরা রূম : আয়াত ২০-২১)
বাস্তব জীবনে এ সু-সম্পর্ক আমাদের খুবই যরুরি। এর মধ্যে শারিরীক প্রয়োজন পূরণ খুব একটি অনুষঙ্গ ও প্রাকৃতিক প্রয়োজন। সে প্রয়োজন পূরণে একা হয়না সঙ্গী সঙ্গীনির স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন ও অংশগ্রহণ যরুরি। এ ক্ষেত্রে পুরুষকে কনসিডার মানসিকতার প্রয়োজন, দরকার নারীরও নিজেকে প্রস্তত রাখা। অবহেলা, অসতর্কতা, ব্যস্ততা, চাকুরি, গৃহস্থলির কাজ অনকে সময় নারীকে অপ্রস্তুত রাখে, শরীরে ও মনে। দিনের পর দিন এমটি হলে পুরুষের জীবনে নেমে আসতে পারে দূর্বিসহ কষ্ট।
এখানে ঘটতে পারে ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোন কিছু। ইচ্ছের বিরুদ্ধে যা কিছু হয় তা কখনই দু পক্ষের জন্য সুখকর নয়। তাই সব দিক বিবেচনা করে নিজেদের মাঝে সুখকর পরিবেশ তৈরী করা। আল্লাহ তাআলা নারীদেরকে রত্ন করেছেন, তাই তার যত্নে রাসুল গুরুত্ব দিয়েছেন তেমিন নারীদেরকে তাঁর স্বামীকে গুরুত্ব দিতে বলেছেন। আল। আমাদের ইবাদাতসহ অনকে কিছু আমাদের সম্পর্কের উপর নির্ভর করে, আল্লাহ আমাদের সব কিছু ঠিক করে দিন, মুসলিম সমাজের ঘরগুলি ঠিক করে দিন।