Wednesday, May 1, 2024

Which Air conditioner to buy?

আমরা এসি সাধারণত ২ ধরনের দেখতে পাই,
১. ইনভার্টার এসি।
২. নন-ইনভার্টার এসি।

ইনভার্টার এসির কথা বলার আগে নন- ইনভার্টার এসির কথা বলি। কারন, নন- ইনভার্টার এসি আমরা আগে থেকে ব্যবহার করছি যা প্রচলিত টেকনোলোজিতে তৈরি। এ ধরনের এসিতে রোটারি কম্প্রেসার থাকে।
অপরদিকে ইনভার্টার এসি আজ থেকে প্রায় ৭-৮ বছর আগে আসা শুরু হয়েছে। এই এসির দাম নন- ইনভার্টার এসির তুলনায় অনেক বেশি। এটি dc কারেন্টে চলে। বর্তমানে ইনভার্টার এসির দাম অনেকাংশে কম হয়ে গিয়েছে। তবু ভাল মানের ইনভার্টার এসি,নন- ইনভার্টার এসির তুলনায় এখনো প্রায় ৫০ % দাম বেশি।[LG,General]

এখন আমরা এই দুই ধরনের এসি সম্পর্কে একটু গভীর ভাবে জানব। বলব এগুলো কিভাবে চলে।

১. নন- ইনভার্টার এসি:- এ ধরনের এসি বেশি কারেন্ট ব্যাবহার করে। ফলে অনেক সময় দেখা যায় এসি অন করলে রুমের লাইটের আলো একটু কমে যায়। এর কারন এই ধরনের এসিতে যে কম্প্রেসার থাকে তা শুরুতেই একদম ফুল স্পিডে চলা শুরু করে। ফলে অনেক বিদ্যুৎ ব্যাবহার করে। এতে ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে বেশ ঠান্ডা বাতাসের মাধ্যমে রুম ঠান্ডা করে ফেলে। মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায় যাকে আমরা বলি থার্মস্টাট। ধরুন আমি এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রিতে দিয়ে রেখেছি। এসি চলতে চলতে ৫-৭ মিনিট পর বন্ধ হয়ে যায় আবার ৫-৭ মিনিট পর চলতে শুরু করে। এভাবে নন- ইনভার্টার এসি বা নরমাল এসি চলে। অর্থাৎ নন- ইনভার্টার এসি, হয় ফুল স্পিডে চলবে না হয় একদম বন্ধ হয়ে যাবে। এরা কম্প্রেসারের পাওয়ার কন্ট্রোল করতে পারে না।
২. ইনভার্টার এসি:- এ ধরনের এসির কমপ্রেসর সবসময় ডিসি কারেন্টে চলে এবং এই এসির পিসিবি কম্প্রেসারের স্পিড বা পাওয়ার কম-বেশি করে অর্থাৎ পরিবর্তন করতে পারে। ধরি আমি মাত্র এসি অন করলাম। আমার রুম গরম তাই এসি ছাড়লে প্রথমে ১০০% স্পিডে কাজ করবে।আমি তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে সেট করলে তাপমাত্রা ২৫ এর আশেপাশে আসলে এসি তার কম্প্রেসারের পাওয়ার আস্তে আস্তে ৩০% থেকে ৪০% কমিয়ে দিবে। অর্থাৎ এসি একদম বন্ধ না হয়ে আমি যে তাপমাত্রায় সেট করিছি তা ধরে রাখবে। নন-ইনভার্টার এসির মত কম্প্রেসার বারবার অন-অফ হবে না।

ইনভার্টার এসি এবং নন- ইনভার্টার এসি মধ্যে ব্যাবহারিক পার্থক্য?

* চলার পদ্ধতিটাই ইনভার্টার আর নন- ইনভার্টার এসির প্রধান পার্থক্য। এছাড়া ইনভার্টার এসি শব্দ কম করে থাকে আর এতে ইলেক্ট্রিক বিল অনেক কম আসে। কারন যখন আমি তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে সেট করি তখন ২৫ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা আসার পর অনেক কম পাওয়ার নিয়ে চলে ফলে বিদ্যুৎ খরচ নরমাল এসি থেকে অনেক কম হয়। ইনভার্টার এসি লাগানোর ফলে বিদ্যুৎ খরচ নরমাল এসি থেকে প্রায় ২০%-৩৫% কম হয়।মূলত পিসিবি নামের একটা সার্কিট AC করেন্ট কে DC তে কনভার্ট করে নিয়ন্ত্রিত ভাবে কমপ্রেসার স্পিড কন্ট্রোল করে।

* ইনভার্টার এসি সব ক্ষেত্রে ভালো না। আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি রুম ঠান্ডা করতে চান তাহলে ইনভার্টার আপনার জন্য নয়। কারন ইনভার্টার এসি ধীরে ধীরে রুম ঠান্ডা করে। অপরদিকে নন- ইনভার্টার এসি চালানোর ২-৫ মিনিটের মধ্যে রুম ঠান্ডা করতে পারে ইনভার্টার এসির ক্ষেত্রে যা প্রায় ১০-১২ মিনিট লাগে।

*মনে করেন ২টা সেম ক্যাপাসিটি এবং সেম ক্যাটাগরির রুমের তামপাত্রা ৪২ ডিগ্রি আছে।আপনি একটা ১.৫ টন ইনভার্টার এক রুমে,আরেকটা ১.৫ টন নন ইনভার্টার আরেক রুমে লাগিয়েছেন।দুটা রুমের এসি ২৪ ডিগ্রিতে একসাথে চালু করেছেন। এখন ইনভার্টার, নন ইনভার্টার দুটাই কিন্তু পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করবে রুমের তামপাত্রা ৪২ থেমে ২৪ এ নামিয়ে আনতে।দেখা যাবে নন ইনভার্টার ৪০-৪৫ মিনিটে রুম ২৪ এ আনল এবং ইনভার্টার হয়ত ৫৫-৬৫ মিনিটে ২৪ এ আনল।এই টাইম টায় দুটা এসির পাওয়ার কনজাম্পশন কিন্তু প্রায় সেম থাকবে।
ইনভার্টারের মূল কাজ শুরু হবে এখন।সে ২৪ এ আনার পর আস্তে আস্তে কমপ্রেসার রান করে রুম টেম্পারেচার ২৪ ধরে রাখবে এবং পাওয়ার সেভ করবে।বাট নন ইনভার্টার এখন বারবার অফ/অন হতে থাকবে টেম্পারেচারের ধরে রাখার জন্য,যেটা বিদ্যুৎ কম সেভ করে।।
সো আপনি যদি রুমে ১-২-৩ ঘন্টার জন্য এসি চালান।বা ৭-৮ ঘন্টা ছাড়া ছাড়া এসি চালান আপনার বিল সেভ তো হবেইনা বরং দাম দিয়ে ইনভার্টার কিনে মানি ওয়েস্ট করলেন।
আপনাকে টানা এসি চালাতে হবে যদি বিল সেভ করতে চান।অন্যথায় নন ইনভার্টারের মত বিল আসবে।

* নন ইনভার্টার এসিতে বেশ তাপমাত্রার পার্থক্য দেখা যায়। আমি যদি তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রতে রাখি তাহলে এসি প্রথমে ২৪ ডিগ্রিতে তাপমাত্রায় আনবে এবং কম্প্রেসার বন্ধ হয়ে যাবে তারপর তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি হলে কম্প্রেসার অন হবে। ফলে তাপমাত্রার পার্থক্য বুঝা যাবে।
এদিকে ইনভার্টার সেটেড টেম্পারেচার কনস্টেন্ট রাখতে পারে।যেটা বেটার কমফোর্ট ফিল দেয়।

*রিপেয়ার এবং খরচ নন ইনভার্টারে কম।কারণ এটায় পিসিবি নাই।অপরদিকে ইনভার্টার এসির রিপেয়ার খরচ বেশি।ওয়েরান্টি শেষে পিসিবি নষ্ট হলে আপনার বাঁচিয়ে দেয়া বিলগুলার সবটাই বা তার থেকে বেশি বা তার থেকে একটু কম ফুরিয়ে যাবে সেটা রিপয়ার করতে।

*মেইনটেনেন্স কস্ট নন ইনভার্টারে কম,ইনভার্টারে বেশি।কারণ মাস্টার সার্ভিসিং এ নন ইনভার্টারের আউটডোরে ডিরেক্ট ওয়াটার প্রেসার দেয়া যায়,কোন সার্কিট না থাকার কারণে।অপরদিকে ইনভার্টারে পিসিবি খুলে ওয়াটার প্রেসার দিতে হয়।

♠♠♠এখন আসি একটা মার্কেটিং পলিসি নিয়ে—

Ac company গুলো তাদের মার্কেট পলিসি তে দেখবেন সব সময় বলে থাকে যে ইনভার্টার ac প্রচলিত নন ইনভার্টার ac থেকে 70 % বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এখানে যে বিষয় টা উল্লেখ থাকে না তা হলো প্রচলিত বলতে নন ইনভার্টার ac গুলোতে তে আগে reciprocating অর্থাৎ piston type/bristol কম্প্রেসার ব্যাবহার করা হত। এই কম্প্রেসার গুলো ব্যাবহারে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়। বর্তমানে ac তে rotary type কম্প্রেসার ব্যাবহার করা হয়। এই rotary type ac compressor গুলো প্রচলিত পিস্টন টাইপ কম্প্রেসার হতে অনেক বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এখন সব ইনভার্টার, নন ইনভার্টার ac তেই rotary type compressor ব্যাবহার করা হয়। তাহলে ব্যাপার টা কি দাঁড়ালো যারা বলে ইনভার্টার ac 70% বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সেটা ঠিক আছে কিন্ত সেটা কোন নন ইনভার্টার ac থেকে সেটা কিন্ত তারা বলে না। সেটা হলো পিস্টন টাইপ নন ইনভার্টার ac compressor থেকে। আধুনিক ইনভার্টার, নন ইনভার্টার সব ac তেই এখন rotary type compressor ব্যাবহার করা হয়। যেহেতু ইনভার্টার ac তে সার্কিট বেবহারের মাধ্যেমে ac কম্প্রসার এর গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেহেতু আধুনিক rotary type compressor এর non inverter AC হতে rotary type ইনভার্টার ac সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০% বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়ে থাকে এর বেশি না। বর্তমানে যেহেতু পিস্টন টাইপ কম্প্রেসার ব্যাবহার করা হয় না তাই মার্কেটিং এর জন্য যেটা বলা হয় 70-75 পার্সেন্ট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সেটা ঠিক না।

♠♠♠সাজেশন—-

* কম ব্যবহার,একটানা ব্যবহার না করলে এবং তাৎক্ষনিক ঠান্ডা করতে নন- ইনভার্টার এসি ভালো হবে।
* কম শব্দের জন্য ইনভার্টার এসি ভালো হবে। নন- ইনভার্টার শব্দ বেশি করে থাকে।(আউটডোর বারান্দায় থাকলে)।
* নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রার জন্য ইনভার্টার এসি ভালো হবে।
*টানা লং টাইম ইউজে বিদ্যুৎ কম খরচের জন্য ইনভার্টার এসি ভালো।
* যে এসির ডেসিবল কম তার শব্দ কম।

♠♠♠আপনার জন্য কত টনের এসি ভালো হবে তা নির্ভর করে আপনার রুমের অবস্থার উপর।আমরা এসি কেনার সময় ভাবি আমার জন্য কয় টনের এসি ভালো হবে। আসুন টন সম্পর্কেও আরেকটু গভীর থেকে জানি,

টন কি? কেন এসিতে পরিমাপ একক হিসেবে টন ব্যাবহার করা হয়?

ধরুন আমি এক টনের এসি আমার রুমে লাগিয়েছি। এই এক টন আমাকে ওইরকম ঠান্ডা দিবে যে রকম একটা এক টন ওজনের বরফ যদি আমার রুমে রাখার ফলে রুম যত খানিক ঠান্ডা হবে বা এক টন বরফ গলাতে যে টুকু তাপ লাগবে তা শোষন করে নিবে।

1 ton A/C = 12000 BTU/Hour

অর্থাৎ এক টনের এসি প্রতি ঘন্টায় রুম থেকে 12000 BTU তাপ শোষন করতে পারে। এখনে BTU মানে ১ পাউন্ড পানিকে ১ ডিগ্রি ফারেনহাইটে গরম করতে প্রয়োজনীয় তাপ।
1 ton = 12000 BTU/h
1.5 ton = 18000 BTU/h
2 ton = 24000 BTU/h
এভাবেই বাড়তে থাকবে।
কত টন এসি নিবেন তা নিভর্র করে আপনার রুম সাইজের উপর।
UP TO 150 sqf 1 ton
UP TO 250 sqf 1.5 ton
UP TO 350 sqf 2 ton
UP To 450 sqf 2.5 ton
এটা হল নন টপ ফ্লোর এর হিসাব।।টপ ফ্লোর হলে,টিনসেড/আরএফএল ফলছাদ হলে,রুমে সারাদিন সূর্যবাবার আলো পড়লে, রুমের হাইট বেশি লম্বা হলে,রুমে সবসময় বেশি মানুষ অবস্থান করলে,রুমের দরজা বারবার খোলা লাগা করলে আপনি আপনার জন্য প্রযোজ্য যে এসি দরকার তার থেকে 0.5 ton বেশি নিবেন।মানে ১ টন লাগলে ১.৫ টন,১.৫ টন লাগলে ২ টন নিবেন।

Tuesday, April 23, 2024

বিয়ের টিপস

#৪৫৬৪

বিয়ে আপনার জীবনের সবচে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত।

লাইফ ইজ আ রেস কথাটা একমাত্রিক হলেও জীবন অন্ততপক্ষে একটা সফর এটা কিন্তু ধ্রুব সত্য। এই সফরে নারী ও পুরুষ পরস্পরের জন্য রাহবার ও রাহী; সওয়ার ও সওয়ারী।

সওয়ারী দুর্বল হলে সফর কঠিন হবে, সওয়ার যদি অতি বেশি ভারী হয়, সফরে দুর্ঘটনা ঘটবে, রাহী যদি বিশ্বস্ত না হয়, আপনি বেঈমানীর শিকার হবেন, রাহবার যদি বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী না হয়, আপনি গন্তব্যে পৌছানো দূরে থাক, গন্তব্য কি আর পথ কি, তাই বুঝতে ভুল করবেন।

দুর্বল সওয়ারীর উদাহরন হচ্ছে একজন অলস, ভীতু বা দুর্বল পুরুষ, যে প্রয়োজনে নিজের অপছন্দের কাজ করে হলেও নিজের পুরুষসুলভ দায়িত্ব পালন করতে চায় না। অথবা, একজন নারী, যে বিপদের সময় ধৈর্য ধারন করতে পারেনা, ফলে তার কারনে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে নানা বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়।

অতি ভারী সওয়ারের উদাহরন হচ্ছে একজন পুরুষ বা নারী, যার মধ্যে ভালো স্বভাবের চেয়ে মন্দের আনাগোনা বেশি এবং সম্পর্কে যে আনুগত্যের চেয়ে বেশি অবাধ্যতা নিয়ে আসে। এদের নিয়ে পথ চলতে গিয়ে সওয়ারীর মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যায় এবং সে সময়ের আগেই মারা যায়।

বিশ্বস্ত রাহী হচ্ছে সেই নারী বা পুরুষ, যে পথের বিপদ সম্পর্কে স্বামী বা স্ত্রীকে সজাগ করে, তার ছোটখাট ভুল শুধরে দেয়, নিজে সফরের এমন প্রস্তুতি নেয় যেন কোথাও তার স্বামী/স্ত্রী আটকে গেলেও সে তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে৷ অবিশ্বস্ত রাহী এর বিপরীত। সে মূলত স্বামী/স্ত্রীর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে তাইএ ফেলে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আটে।

জ্ঞানী রাহবার হচ্ছে সেই স্বামী বা স্ত্রী, যে তাৎক্ষনিক আনন্দ ও ভোগের পথের বদলে দীর্ঘমেয়াদী সুখ, প্রশান্তি ও সন্তুষ্টির দিকে স্বামী/স্ত্রীকে পরিচালিত করে। হক ও বাতিলের জ্ঞান রাখে, দুনিয়া ও আখিরাতের ভারসাম্য বোঝে এবং যখন স্বামী/স্ত্রী দৈহিক/মানসিকভাবে ভাবে ভেঙ্গে পড়ে, তার আশ্রয় হয়।

যারা আমার কাছে বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ চান, এই চার ক্রাইটেরিয়ার প্রতিটিতে আপনার পছন্দের মানুষকে বসান। সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।

সজল ভাই