Saturday, December 3, 2022

নুহ, ইব্রাহিম এবং মুসা আলাইহিমুস সালামগণের অস্তিত্বের কোন ঐতিহাসিক প্রমান নেই। কিন্তু তবুও তাঁরা ছিলেন, এটাই চূড়ান্ত সত্য। কেন?

May be an image of text that says "নবীগণের অস্তিত্বের এতিহাসিক প্রমাণ নেই! বৈজ্ঞানিক সত্য কিংবা ঐতিহাসিক সত্য আর প্রকৃত সত্য সর্বদা এক নয়।"


নুহ, ইব্রাহিম এবং মুসা আলাইহিমুস সালামগণের অস্তিত্বের কোন ঐতিহাসিক প্রমান নেই। কিন্তু তবুও তাঁরা ছিলেন, এটাই চূড়ান্ত সত্য। কেন?
কারণ, বৈজ্ঞানিক সত্য কিংবা ঐতিহাসিক সত্য আর প্রকৃত সত্য সর্বদা এক নয়।
লিখেছেন - الكاتب المجهول
=======================
#### পাঠ ১
নুহ, ইব্রাহিম এবং মুসা আলাইহিমুস সালামগণ তো বটেই এমনকি খোদ ইসা (আ) এর অস্তিত্বের ঐতিহাসিক প্রমান খুবই দুর্বল। তাহলে কি আমি নুহ, ইব্রাহিম, ইসহাক, ইসমাইল, ইউসুফ, মুসা, হারুন, ইসা (আ) এর অস্তিত্বে বিশ্বাস করিনা? অবশ্যই করি। তাদের উপর ইমান আমার শাহাদাতের অংশ। রাসুলের উপর ইমান আনার মানেই এসব নবীদের উপর ইমান আনা।
আমি এসব নবিদের উপর ইমান এজন্য রাখিনা যে তাঁদের অস্তিত্বের ঐতিহাসিক প্রমান আছে বরং তাদের উপর ইমান রাখি এজন্য যে তাদের ব্যাপারে কুরআন ইমান আনতে বলেছে। এটা হচ্ছে ইমান বিল গায়েব।
গায়েব বিজ্ঞান বা ইতিহাসের বিষয় নয়। আমরা যেমন ইব্রাহিম (আ) এর আগুনে পোড়া বা ইসা (আ) এর জন্ম ঐতিহাসিক বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারিনা তেমন এখন পর্যন্ত তাদের অস্তিত্বের ঐতিহাসিক প্রমান নেই।
এই যে আমরা নবীগণের অস্তিত্বের ঐতিহাসিক বা মুজিজাগুলোর বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই শুনেই বিচলিত হই তার কারন কি? কারন আমরা ইমান বিল গায়েবের হাকিকত ভুলে গিয়েছি, আমরা কুরআনের পরিবর্তে বিজ্ঞান আর ইতিহাসের বস্তুবাদী পদ্ধতিকে (হক বাতিলের) ফুরকান মনে করি।
পাশাপাশি আরও একটা বিষয় হচ্ছে আমরা বিজ্ঞান, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, ঐতিহাসিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানিনা। আমরা বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক পদ্ধতিকে অকাট্য রকমের সঠিক মনে করি। আমরা বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানি না। যারা জানতে চান তারা limitation of scientific methodology, limitation/ problem of induction, philosophy of science, limitation of historical methodology এসব নিয়ে পড়ুন। তাহলে বুঝতে পারবেন নিজের সীমানায় এরা দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করলেও এদের অনেক নো গো জোন আছে। এদের সীমানা পার হলেই বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক পদ্ধতি কত দুর্বল।
কিন্তু ওয়াহি হচ্ছে সত্য লাভের সবচেয়ে নিরাপদ ও বিস্বস্ত উপায়। এ নিয়ে ইমাম গাযযালির অনেক ভাল আলোচনা আছে। আগ্রহিগন পড়ে নিতে পারেন।
=======================
#### পাঠ ২
কোন কিছু ঐতিহাসিক সত্য হতে হলে তার নিচের দুইটার যেকোন একটা বৈশিষ্ট অবশ্যই থাকতে হবে।
১) কোন প্রমান থাকতে হবে। যেমন কোন লেখা তা কাগজ, হরিণের চামড়া, পাহাড়ের গা, শিলালিপি বা কোন প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন যেকোন কিছু থাকতে হবে। সেগুলো যে সমসাময়িক কালের লেখা বা লেখাগুলো চাক্ষুস সাক্ষীর লেখা এমন সম্ভাবনা থাকতে হবে। এসকল পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞানীরা কার্বন ডেটিং করেন।
২) সাক্ষ্য। বর্ননাকারির নিরবিচ্ছিন্ন চেইন থাকতে হবে।
এই পদ্ধতিকে আমি খারাপ বলছিনা। এই পদ্ধতিগুলো কুরআন ও হাদীস সংকলনে ও সংরক্ষনে সবচেয়ে পূর্ন ও সফলভাবে ব্যাবহার করা হয়েছে। কিন্তু এসকল পদ্ধতি সর্বদা ত্রুটিমুক্ত নয়। কেন?
কারন হিসাবে অনেক কিছু বলা যায় কিন্তু খুব সাদামাটাভাবে এসকল পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করলে বলা যায় :
১) আপনি আর্কিওলজিক্যাল এভিডেন্সে যখন যথেষ্ট পার্শ্ব সমর্থন পাবেননা তখন তাতে অনেক মিথ্যা তথ্যও লেখা থাকতে পারে। ৫০ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেভাবে প্রতি সরকার আমলে বদলায় তাতে আর্কিওলজিক্যাল গ্রাউন্ডে লেখা সবকিছুই যে সঠিক লেখা থাকবে তা সম্ভব নয়।
২) সাক্ষিরা মিথ্যা বলা, ভুলে যাওয়া খুবই সম্ভব।
এই দুই সীমাবদ্ধতাযে সর্বদাই কাটিয়ে উঠা অসম্ভব তা কিন্তু নয়। কিভাবে? যেমন ধরেন স্বাধীনতার ঘোষনা রাতের আঁধারে দেওয়া ফলে অনেকে হয়তো কনফিউজড। কিন্তু ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষন কিন্তু নিশ্চিত সত্য। কেন? তার ভিডিও, অডিও আছে। সেগুলো যে ফেক নয় তার প্রমান হিসাবে বিপুল পরিমান শত্রু মিত্রের সাক্ষ্য আছে। ইসলামের পরিভাষায় একে বলা যায় মুতাওয়াতির। এজন্য আমরা দেখি কুরআনের মাসহাফ এবং সেই মাসহাফের সাক্ষী বিপুল পরিমান সব যুগে ছিল।
এখন সমস্যা হচ্ছে প্রাচীনকালে এমন অকাট্য ঐতিহাসিক রেফারেন্স তেমন একটা পাওয়া যায়না। প্রাচীন ইতিহাসের উপাদানের এপিস্টমলিজিক্যাল নিশ্চয়তা তেমনভাবে পাওয়া যায়না।
ওহির ক্ষেত্রে এই সমস্যা নাই। কারন আল্লাহ মিথ্যা দেখেননা, মিথ্যা বলেননা, মিথ্যা শুনেননা। তিনি সর্বশক্তিমান। তাই তিনি কাউকে কোন তথ্য পাঠাতে চাইলে সেই তথ্য যে বিশুদ্ধভাবে পৌছেছে তা নিশ্চিত করা তাঁর জন্য খুব সহজ। এভাবে ওহি বিশুদ্ধ ইলমের ধারক। কিন্তু ওহি একটি অলৌকিক বিষয়। ওহি ইলমে গাইবের বিষয়। ফলে এটি মানে ওহি ঐতিহাসিক সংরক্ষন পদ্ধতি অংশ নয় বরং তাঁর চেয়ে উন্নত পদ্ধতি।
এই আলোচনায় আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে অলৌকিকতা কিন্তু ঐতিহাসিক সংরক্ষন পদ্ধতির অংশ নয়। যেমন ধরেন ইলহাম, কাশফ বা স্বপ্নের ভিত্তিতে কেউ কোন হাদীস বললে মুহাদ্দিসরা তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করবেন। যদিও হাদীসে আছে নবুওয়্যাতের ৪৬ ভাগের এক ভাগ হচ্ছে স্বপ্ন। আমি বলছিনা এটা বিশুদ্ধ উদাহরন। কারন ওহি হচ্ছে নিশ্চিত জ্ঞান কিন্তু ইলহাম, কাশফ বা স্বপ্ন নির্ভুল হওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু বোঝানোর জন্য কাছকাছি একটা উদাহরন দিলাম।
ঐতিহাসিক পদ্ধতির ব্যাপারে আমাদের একটা জিনিস অবশ্যই বুঝতে হবে, আমি চাঁদ তারা ধরতে পারিনা বলে চাঁদ তারা মিথ্যা নয়। শিয়াল আঙ্গুর খেতে পারেনি বলে বলেছে আঙ্গুর ফল টক। কিন্তু প্রজ্ঞাবান কোন মানুষ তা করতে পারেনা। তারা যেখানে বাসে যাওয়া সুবিধা সেখানে বাসে যায়, যেখানে বাসে যাওয়া যায়না সেখানে প্লেনে যায়। আমার ৫০ তম পূর্ব পুরুষের অস্তিত্বের কোন প্রমান আমার কাছে নাই আমার অস্তিত্ব ছাড়া। কিন্তু তিনি ছিলেন। খেয়েছেন, পড়েছেন, ঝগড়া করেছেন, প্রেম করেছেন। সবই করেছেন। কিন্তু তা সম্পর্কে ঐতিহাসিক পদ্ধতি দিয়ে জানা সম্ভব নয়। ফলে তাদের জীবনাচার অনৈতিহাসিক কিন্তু অসত্য নয়।
এখন আসেন আলোচ্চ নবিদের ঐতিহাসিকতা বিষয়ে। কুরআন ওহি এবং নিশ্চিত জ্ঞান কিন্তু রাসুল (সা) এর সাথে অন্য নবিদের বস্তুগত নিরবিচ্ছিন্ন চেইন নেই। আর বাইবেল গুলোর কোন মান নেই। কারন বাইবেলের বর্ননাসূত্র প্রচন্ড জয়িফ হাদীসের চেয়েও জয়িফ। মওযু সনদগুলোর সাথেই এগুলোর বিরাট অংশের তুলনা চলে।
ওল্ড টেস্টামেন্টের সবচেয়ে পুরোনো আর্কিওলজিক্যাল মাসহাফ হচ্ছে ডেড সি স্ক্রল। যা মুসা (আ) এর প্রায় ১০০ বছর পরে লেখা। দাউদ (আ) বাইবেলের প্রথম নবি যার আর্কিওলজিক্যাল এভিডেন্স পাওয়া যায়। তাঁর সময়ের একটি শিলালিপি পাওয়া গিয়েছে যেখানে হাউস অব দাউদ লেখা আছে। তাছাড়া তার বাড়ির প্রাচিরের কিছু অংশ জেরুজালেমের প্রাচীন অংশে পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁর পূর্বের কোন নবিকে আমরা ঐতিহাসিক পদ্ধতির মাধ্যমে পাইনা। পাই ওরাল ট্রেডিশনে যার কোন সনদ নাই।
কিন্তু এসকল নবীর উপর ইমান আমরা রাখি কারন ঐতিহাসিক পদ্ধতির পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতার কারনে আমরা নবীদের ব্যাপারে সেপদ্ধতিতে জানতে না পারলেও আমরা অপেক্ষাকৃত অনেক উন্নত পদ্ধতি ওহির মাধ্যমে এসকল নবিদের ব্যাপারে জানতে পারি। এজন্যই কুরআনকে অন্যান্য নবিদের সত্যায়নকারি বলা হয়। কেন কারন কুরআন যদি মিথ্যা হয় তবে অন্য নবিদের সত্যতা সম্পর্কে জানার আমাদের কোন উপায় নাই।
=======================
#### পাঠ ৩
এই যে বেশ কজন নবির অস্তিত্বের ঐতিহাসিক প্রমান অস্বীকার করলাম, কিন্তু কারণ কী? এর একটা প্রেক্ষাপট আছে। সেটা হচ্ছে মুশফিকুর রহমান মিনার ভাইয়ের সাথে আসিফ মহিউদ্দিনের আলোচনা। সেখানে তিনি আসিফ মহিউদ্দিনের বেশ কিছু ভুল ধরিয়ে দেন এবং আসিফ বাধ্য হন সেগুলোর কিছু সমস্যা স্বীকার করতে।
মিনার ভাইয়ের আলোচনায় কিছু মানুষ হয়তো ইসলামে নিজেদের আস্থাকে কিছুটা বাড়াতে পারবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাতে কাজের কাজ কিছু হবে বলে আমার মনে হয়না। আমার অভিজ্ঞতা বলে আপনি যদি স্ট্রাকচারাল লেভেলে নাস্তিকতা, লিবারেলিজম, হিউম্যানিজম প্রভৃতি মতাদর্শকে চ্যালেঞ্জ না করতে পারেন তবে আপনি জবাব দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন কিন্তু প্রশ্ন শেষ হবেনা। তার চেয়ে বড় সত্য অনেক ইস্যুতে আপনি বাধ্য হবেন গোঁজামিল দিয়ে ইসলামকে ডিফেন্ড করতে। ফলে নিজের মনেই এক সময় সন্দেহ ঢুকবে।
আমি মনে করি মুফতি মাসুদ বা মুফাসসিল ইসলামের ইরতিদাদের একটা কারন এটাও। আমার মনে হয়না শুধু তাদের ব্যাক্তিগত অসৎ চরিত্র আর ইউরোপিয় মাইগ্রেশন ধারনা দিয়ে বিষয়টিকে পুরো ব্যাখ্যা করা যাবে। সাথে সাথে আল ওয়ালা ওয়াল বাড়া, জিহাদ, আল আহকামুস সুলতানিয়া, নৈতিকতা প্রভৃতি নিয়েও তাদের নিজেদের ভেতর মারাত্মক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছিল সন্দেহ নেই।
আরেকটি আর্গুমেন্ট আমার কাছে এবিষয়ে গুরুত্বপূর্ন মনে হয়েছে। সেটা হুচ্ছে আপনি সাহাবাদেরকে কদাচিৎ কাফিরদের সাথে শাখাগত বিষয় নিয়ে বিতর্ক করতে দেখবেন তারা মূল স্ট্রাকাচারাল লেভেলে বিতর্ক করতেন। রাসুল (সা) তো এব্যাপারে আরও অসাধারন।
আমার আর্গুমেন্ট বুঝতে তরুন আলিম আলী হাসান ওসামা এর নিচের লেখাটা ইনশাল্লাহ উপকারি হবে। তিনি বলেন,
'ইসলাম হলো আল্লাহর সামনে আত্মসমর্পণ করার নাম। ইসলাম হলো কুরআন এবং সুন্নাহর নিঃশর্ত অনুসরণের নাম। বিধানগুলো আবর্তিত হয় ইল্লতের সঙ্গে। যেমন : নামাজ ফরজ। কেন? এর ইল্লত কী? ইল্লত হলো আল্লাহর আদেশ 'তোমরা যথাযথভাবে নামাজ আদায় করো'। প্রতিটা বিধানের পেছনে হিকমত থাকে। কিন্তু হিকমতগুলো মুখ্য নয়। আর প্রকৃত হিকমত আল্লাহ ছাড়া কে-ইবা জানে!
সুতরাং সফরে বেরোলে নামাজ কসর করতে হবে। এটা আল্লাহর বিধান। ইল্লত নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮ মাইল পথ অতিক্রম করা। এ বিধানের হিকমতও রয়েছে। আর তা হলো কষ্ট দূর করা, জটিলতা নিরোধ করা। কিন্তু হিকমত যা-ই হোক না কেন, বিধান প্রযোজ্য হবে তার ইল্লতের সঙ্গে।
সুতরাং কেউ যদি উত্তরা থেকে গুলিস্তান যেতে জ্যামের ভোগান্তি পোহাতে পোহাতে আধমরাও হয়ে যায়, এতটুকু পথ পাড়ি দিতে বারো ঘণ্টাও লেগে যায়, তবুও তাকে পূর্ণ নামাজই পড়তে হবে। অন্যদিকে কেউ যদি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিমানে চড়ে আরামে আরামে আটচল্লিশ মাইল পথ অতিক্রম করে, কোনো কষ্ট না হওয়া সত্ত্বেও তাকে নামাজ কসর করতে হবে। একইভাবে স্বামী-স্ত্রী মিলিত হলে এবং একজনের লজ্জাস্থান অন্যজনের লজ্জাস্থানের মধ্যে হারিয়ে গেলেই তাদের গোসল করতে হবে। বীর্যপাত হলো নাকি হলো না, তা লক্ষণীয় নয়। ঘুমালেই ওজু ভেঙে যাবে। ঘুমের ভেতর বায়ু বেরিয়েছে কি না, তা মোটেও যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই।
নাস্তিকরা ইসলামের অনেক বিধান নিয়ে আপত্তি করে। আমরা হিকমত দেখিয়ে সেগুলোর ডিফেন্ড করি। যদিও প্রকৃত হিকমত আল্লাহ এবং তার রাসুলই ভালো জানেন। কখনো আমাদের আকলপ্রসূত হিকমত অসার হলে ওরা বিজয়ানন্দে মেতে ওঠে। আজকালকার বইপোকারাও ইসলামের হিকমতগুলো জানতেই অধিক পছন্দ করে। ইল্লত জানতে আগ্রহী, সাধারণ পাঠকদের মধ্যে এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুরূহই বটে।
হিকমতনির্ভর এসব বিজয়ের ফলাফলও সাময়িক। পরবর্তীতে যখন কোনো বিধানের হিকমত মাথায় ধরবে না, তখনই আবার বেঁকে বসবে। এ কারণেই সুশীল বুদ্ধিজীবী মুসলিমরা ইসলামের কিতাল বা হদ-কিসাসকে সহজে মেনে নিতে পারে না। বা রাসুলুল্লাহর মাগাজিকে বিশ্বাস করলেও বর্তমানকালে গাজওয়ার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না।
ইসলামের খুঁটিনাটি বিধানের হিকমত বোঝানোর সাধনা খুব বেশি ফল বয়ে আনে না। কারণ, ওদের আপত্তি তো মেশিনগানের ফায়ারের মতো। আপনি আর কয়টাই ডিফেন্ড করবেন আর কত হিকমতই সংকলন করবেন বা রচনা করবেন! এ জন্য নবিগণ দাওয়াত দিয়েছেন তাওহিদ অবলম্বনের, শিরক ও বিদআতের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের। কারণ, এগুলো ইসলামের মূল, দীনের শেকড়। যে গাইবের প্রতি ইমান আনবে, সে নির্দ্বিধায় ইসলামের সবকিছুকে মেনে নেবে।
আল্লাহর তাওহিদ যার ভেতর পরিপূর্ণ থাকবে, ইসলামের কোনো বিধান নিয়ে, এমনকি ইসরা-মেরাজ-জিন ইত্যাদির সংঘটন ও অস্তিত্ব নিয়েও তার ন্যূনতম সংশয় থাকবে না। সে তো তখন আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের জন্য বাহ্যত অসম্ভবকেও সম্ভবে পরিণত করে ছাড়বে। তিন শ তেরোর নিরস্ত্র অযোদ্ধা বাহিনী যেমন হাজার খানেক সশস্ত্র যোদ্ধার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং খোদায়ি মদদে বাহ্যত অসম্ভবকে সম্ভব করে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে এনেছিল।
আজকাল মানুষ যতটা না কুরআন-সুন্নাহ অধ্যয়ন করে, রাসুলুল্লাহর সিরাত, সাহাবিদের ইতিহাস এবং ইসলামি বিধিবিধান সম্পর্কে অধ্যয়ন করে, তারচে বেশি যুক্তির পেছনে পড়ে থাকাকে ইসলামের বিজয় মনে করে। যুক্তিপূজা বা যুক্তিনির্ভর দীন পালনের নাম তো ইসলাম নয়। ইসলাম তো হলো ওহির সামনে নির্দ্বিধ আত্মসমর্পণ। সুরা বাকারার শুরুতে এ কথাটিই বলা হয়েছে : এই কুরআন তাদের জন্য হিদায়াত, যারা গাইবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। গাইব বলা হয় পঞ্চইন্দ্রিয় এবং আকলের ঊর্ধ্বের বিষয়গুলোকে। সুতরাং ইসলামের ভিত্তি হলো গাইবের প্রতি ইমান।
ইসলাম যুক্তিশূন্য নয়। তবে ইসলামের ভিত্তি যুক্তির ওপর রাখা হয়নি; রাখা হয়েছে গাইবের প্রতি নির্দ্বিধায় আত্মসমর্পণের ওপর'।


বর্তমানে কিছু হাদীস অস্বীকারকারি এই বলে হাদীস অস্বীকারের যৌক্তিকতা তৈরী করছে যে - হাদিস সংকলনের প্রক্রিয়া ছিল সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।

 

বর্তমানে কিছু হাদীস অস্বীকারকারি এই বলে হাদীস অস্বীকারের যৌক্তিকতা তৈরী করছে যে - হাদিস সংকলনের প্রক্রিয়া ছিল সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।
তাদের দাবী হলো, শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতিই একমাত্র সত্য জানার উপায়। আর অন্য সকল জ্ঞানের ক্ষেত্র হল অগ্রহণযোগ্য। এই মাইন্ডসেটকে বলে "বিজ্ঞানবাদ"
বিজ্ঞানবাদ এমন একটি দাবী, যা বলে আমাদের বাস্তবতা সম্বন্ধে সত্য নির্ণয়ে বিজ্ঞানই একমাত্র পন্থা। এ কথা দ্বারা বোঝানো হয়, কোন কিছু / কোন কথা গ্রহনযোগ্য তখনই হবে যখন তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করা যায়। অন্যথায় তা গ্রহনযোগ্য হবে না।
আসলেই কি জগতের সব সত্য কে জানার জন্য বিজ্ঞান ই একমাত্র উপায়??
উত্তর হলো না। বিজ্ঞান সব সত্য উদঘাটন ও প্রমাণ করতে পারে না। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিগুলোর বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কেমন সীমাবদ্ধতা??
তার আগে আপনাকে বুঝতে হবে,
- বিজ্ঞান কি,
- এটি কিভাবে কাজ করে,
- কোন লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে,
- বিজ্ঞানের কাজের ক্ষেত্র আসলে কোথায়।
বিজ্ঞানবাদীরা দাবি করে যে দুনিয়ার সকল ক্ষেত্রেই বৈজ্ঞানিক গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে, যা নিতান্তই একটি ভ্রান্ত দাবি। কেননা বিজ্ঞান কাজ করে কেবলমাত্র প্রকৃতি নিয়ে। ইতিহাস, অদৃশ্য জগৎ, সমাজতত্ত্ব, অর্থনীতি, রাজনীতি, রসায়ন, মেডিসিন, মানুষের মন - এসব ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের কোনো কাজ নেই।
অনেকে মেডিসিন প্র্যাক্টিস অর্থাৎ ঔষধ নিয়ে গবেষণা ও ঔষধ তৈরীর পদ্ধতিকেও বিজ্ঞানের সাথে গুলিয়ে ফেলেন। একে যদিও আংশিকভাবে “ফলিত প্রযুক্তি” হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে, তবে এটি একটি বিজ্ঞান নয়। মেডিসিন প্র্যাক্টিসগুলো উক্ত ডিসিপ্লিনের সংখ্যাগরিষ্ঠের ঐকমত্যের দ্বারা নির্ধারিত হয়, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি দ্বারা নয়।
(তথ্যসূত্র: The Chemistry of Essential Oils Made Simple: God’s Love Manifest in Molecules – pages 618 – 654)
তাহলে বিজ্ঞান কী?
বিজ্ঞান হলো প্রকৃতিতে ঘটমান ঘটনাগুলোর উপর পর্যবেক্ষণ করে সেগুলো কিভাবে ঘটছে, সেটা ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়া। বিজ্ঞান নির্ভর করে Present Time এর উপর, এটি অতীত কিংবা ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করতে পারে না। বর্তমান সময়ে ঘটমান কোনো বিষয়ে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞান কাজ করে, এটাকে বলা হয় "অভিজ্ঞতাবাদ"।
যেমন, আপনি মাটিতে পানি ঢাললে গাছ মাটি থেকে পানি ও পুষ্টি নিয়ে সূর্যের আলোর সাহায্যে তার খাবার তৈরী করে বেড়ে উঠে। এই যে গাছটার শরীরের ভিতর এসব কাজ হলো, এই কার্যক্রমকে পর্যবেক্ষণ করে সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা করার কাজটাকে বলা হয় "বিজ্ঞান"
গাছ কোথা থেকে এল, গাছটা কেন মাটি থেকে নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টি উপাদানই নিল, কেন সরাসরি মাটি গিলে ফেলল না - এই প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞান দিতে পারে না। কারণ বিজ্ঞান কিছুই ব্যাখ্যা করে না - এটি কেবল বর্ণনা করতে পারে।
তাই গাছটি কিভাবে পুষ্টি সংগ্রহ করে, এই প্রক্রিয়াটির বর্ণনাই কেবল "বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান পদ্ধতি‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌"র মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। কিন্তু কেন গাছের শরীরে এসব কাজ হচ্ছে, অন্যভাবে কেন হচ্ছে না - এসব "বৈজ্ঞানিক গবেষণা পদ্ধতির আলোকে" প্রমাণ করা অসম্ভব।
কারণ, কোনো ব্যাপারে মানুষ বাস্তবিক অভিজ্ঞতা লাভ করা ব্যতীত সেখানে বিজ্ঞানের মূলতত্ত্ব "অভিজ্ঞতাবাদ"কে এপ্লাই করা যায় না।
কোনো ব্যাপারে অভিজ্ঞতা লাভের জন্য বিজ্ঞান তার ইন্সট্রুমেন্ট এবং পর্যবেক্ষণের যন্ত্রপাতি দ্বারা সীমাবদ্ধ। যন্ত্রপাতিগুলো কেবলমাত্র তাই বের করতে পারে যা সনাক্ত করার জন্য সেগুলোকে ডিজাইন করা হয়েছে। আর বিজ্ঞান কেবলমাত্র সেসবের বর্ণনা করতে পারে, যেসব ঘটনাকে সে তার যন্ত্রপাতি দিয়ে যাচাই করে অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে।
একজন মানুষ সত্য বলছে নাকি মিথ্যা বলছে, এটা এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ১০০% নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা সম্ভব না। কারণ, মানুষের মন পর্যবেক্ষণের প্রযুক্তি কিংবা যন্ত্রপাতি এখনো কেউ তৈরী করতে পারেনি।
এজন্যে একজন মানুষের চরিত্র নির্ণয়ের সবচাইতে কার্যকর পদ্ধতি হলো তার পুরো জীবন সম্পর্কে খোঁজ নেয়া, তার লাইফস্টাইল ও চরিত্র যাচাই করা। এভাবে ব্যক্তির চরিত্র যাচাই করে তার কথার গ্রহণযোগ্যতাও পরিমাপ করা যায়।
যার কথা খুব পাতলা, মিথ্যা, গীবতসহ নানান ধরণের অনৈতিক কাজে সে লিপ্ত থাকে - তার কথা গ্রহণযোগ্য হবে না। আবার যে ব্যক্তি সারাজীবন সত্যের উপর অটল থেকেছে, সম্পূর্ণ জীবন চালিয়েছে নৈতিকতার উপর, তার কথাগুলো গ্রহণযোগ্য।
এভাবে যুক্তি ও ইতিহাসের ক্রমধারা বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি হাদীসের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করা হয়। হাদীস সংগ্রহের পদ্ধতিতে "মুতাওয়াতির সূত্র" বলে একটা কথা আছে।
মুতাওয়াতির সূত্র মানে হল, ধারাবাহিকভাবে কোনো জিনিস এতগুলো মানুষের মাধ্যমে আসা যে সুস্থ বিবেক একইসাথে সবাইকে মিথ্যাবাদী বলাকে অসম্ভব মনে করে। এই মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণনাকারী হিসেবে কাদেরকে গ্রহণ করা হবে, সেটার জন্যেও সকল বর্ণনাকারীর জীবনের আদ্যোপান্ত যাচাই করা হতো।
এভাবে বিপুল পরিমাণ সর্বোচ্চ পরিমাণ সৎ লোকদের ধারাবাহিক নিরবিচ্ছিন্ন বর্ণনার আলোকে মুতাওয়াতির সূত্রের হাদীসগুলো সংকলিত হয়। এটা অতীতের কোনো ঘটনা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক উৎকৃষ্ট একটা পদ্ধতি।
কিন্তু কোনো ব্যক্তি সত্য বলছে নাকি মিথ্যা বলছে, ঐতিহাসিক কোনো ঘটনার সত্যতা কতটুকু - এগুলো কখনোই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যাচাই করা সম্ভব নয়। কারণ, আমাদের কাছে টাইম মেশিন নেই যে অতীতে গিয়ে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করবো। বিজ্ঞানের কাজই না এটা।
প্রতিটা প্রক্রিয়াই তার নিজ নিজ জায়গায় স্বতন্ত্র, একটি প্রক্রিয়ার সাপেক্ষে আরেকটিকে যাচাই করতে যাওয়াটা একটা ভুল এপ্রোচ। আপনি পদার্থবিজ্ঞান এর প্রক্রিয়া দিয়ে মনস্তত্ত্ব কে বিচার করতে পারেন না। জোতির্বিজ্ঞান এর সাপেক্ষে কেমিস্ট্রিকে যাচাই করা সম্ভব না। তেমনি বিজ্ঞান কিংবা পশ্চিমা ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার নিয়মকানুন এর সাপেক্ষে হাদীস সংকলন কিংবা ফিকাহ এর নিয়মকানুনকে যাচাই করাটাও অসম্ভব।
‌‌
প্রতিটা প্রক্রিয়ারই নিয়মকানুন, কাজের ক্ষেত্র এবং লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আলাদা। এ ব্যাপারে উস্তাদ মীর সালমান এর একটি আলোচনা প্রাসঙ্গিক মনে করছি।
আপনি কি জানেন, নুহ, ইব্রাহিম এবং মুসা আলাইহিমুস সালামগণের অস্তিত্বের কোন ঐতিহাসিক প্রমান নেই? নুহ, ইব্রাহিম এবং মুসা আলাইহিমুস সালামগণ তো বটেই এমনকি খোদ ইসা (আ) এর অস্তিত্বের ঐতিহাসিক প্রমান খুবই দুর্বল।
তাহলে কি আমি নুহ, ইব্রাহিম, ইসহাক, ইসমাইল, ইউসুফ, মুসা, হারুন, ইসা (আ) এর অস্তিত্বে বিশ্বাস করিনা? অবশ্যই করি। তাদের উপর ইমান আমার শাহাদাতের অংশ। রাসুলের উপর ইমান আনার মানেই এসব নবীদের উপর ইমান আনা।
আমি এসব নবিদের উপর ইমান এজন্য রাখিনা যে তাঁদের অস্তিত্বের ঐতিহাসিক প্রমান আছে বরং তাদের উপর ইমান রাখি এজন্য যে তাদের ব্যাপারে কুরআন ইমান আনতে বলেছে। এটা হচ্ছে ইমান বিল গায়েব।
গায়েব বিজ্ঞান বা ইতিহাসের বিষয় নয়। আমরা যেমন ইব্রাহিম (আ) এর আগুনে পোড়া বা ইসা (আ) এর জন্ম ঐতিহাসিক বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারিনা তেমন এখন পর্যন্ত তাদের অস্তিত্বের ঐতিহাসিক প্রমান নেই।
এই যে আমরা নবীগণের অস্তিত্বের ঐতিহাসিক বা মুজিজাগুলোর বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই শুনেই বিচলিত হই তার কারন কি? কারন আমরা ইমান বিল গায়েবের হাকিকত ভুলে গিয়েছি, আমরা কুরআনের পরিবর্তে বিজ্ঞান আর ইতিহাসের বস্তুবাদী পদ্ধতিকে (হক বাতিলের) ফুরকান মনে করি।
পাশাপাশি আরও একটা বিষয় হচ্ছে আমরা বিজ্ঞান, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, ঐতিহাসিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানিনা। আমরা বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক পদ্ধতিকে অকাট্য রকমের সঠিক মনে করি। আমরা বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানি না।
যারা জানতে চান তারা limitation of scientific methodology, limitation/ problem of induction, philosophy of science, limitation of historical methodology এসব নিয়ে পড়ুন। তাহলে বুঝতে পারবেন নিজের সীমানায় এরা দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করলেও এদের অনেক নো গো জোন আছে। এদের সীমানা পার হলেই বৈজ্ঞানিক ও ঐতিহাসিক পদ্ধতি কত দুর্বল সেটা ভালভাবে চোখে পড়ে।
কিন্তু ওয়াহি হচ্ছে সত্য লাভের সবচেয়ে নিরাপদ ও বিস্বস্ত উপায়। এ নিয়ে ইমাম গাযযালির অনেক ভাল আলোচনা আছে। আগ্রহিগন পড়ে নিতে পারেন।
কোন কিছু ঐতিহাসিক সত্য হতে হলে তার নিচের দুইটার যেকোন একটা বৈশিষ্ট অবশ্যই থাকতে হবে।
১) কোন প্রমান থাকতে হবে। যেমন কোন লেখা তা কাগজ, হরিণের চামড়া, পাহাড়ের গা, শিলালিপি বা কোন প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন যেকোন কিছু থাকতে হবে। সেগুলো যে সমসাময়িক কালের লেখা বা লেখাগুলো চাক্ষুস সাক্ষীর লেখা এমন সম্ভাবনা থাকতে হবে। এসকল পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞানীরা কার্বন ডেটিং করেন।
২) সাক্ষ্য। বর্ননাকারির নিরবিচ্ছিন্ন চেইন থাকতে হবে।
এই পদ্ধতিকে আমি খারাপ বলছিনা। এই পদ্ধতিগুলো কুরআন ও হাদীস সংকলনে ও সংরক্ষনে সবচেয়ে পূর্ন ও সফলভাবে ব্যাবহার করা হয়েছে। কিন্তু এসকল পদ্ধতি সর্বদা ত্রুটিমুক্ত নয়। কেন?
কারন হিসাবে অনেক কিছু বলা যায় কিন্তু খুব সাদামাটাভাবে এসকল পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করলে বলা যায় :
১) আপনি আর্কিওলজিক্যাল এভিডেন্সে যখন যথেষ্ট পার্শ্ব সমর্থন পাবেননা তখন তাতে অনেক মিথ্যা তথ্যও লেখা থাকতে পারে। ৫০ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেভাবে প্রতি সরকার আমলে বদলায় তাতে আর্কিওলজিক্যাল গ্রাউন্ডে লেখা সবকিছুই যে সঠিক লেখা থাকবে তা সম্ভব নয়।
২) সাক্ষিরা মিথ্যা বলা, ভুলে যাওয়া খুবই সম্ভব।
এই দুই সীমাবদ্ধতাযে সর্বদাই কাটিয়ে উঠা অসম্ভব তা কিন্তু নয়।
কিভাবে?
যেমন ধরেন স্বাধীনতার ঘোষনা রাতের আঁধারে দেওয়া ফলে অনেকে হয়তো কনফিউজড। কিন্তু ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষন কিন্তু নিশ্চিত সত্য। কেন? তার ভিডিও, অডিও আছে। সেগুলো যে ফেক নয় তার প্রমান হিসাবে বিপুল পরিমান শত্রু মিত্রের সাক্ষ্য আছে। ইসলামের পরিভাষায় একে বলা যায় মুতাওয়াতির।
এজন্য আমরা দেখি কুরআনের মাসহাফ এবং সেই মাসহাফের সাক্ষী বিপুল পরিমান সব যুগে ছিল।
এখন সমস্যা হচ্ছে প্রাচীনকালে এমন অকাট্য ঐতিহাসিক রেফারেন্স তেমন একটা পাওয়া যায়না। প্রাচীন ইতিহাসের উপাদানের এপিস্টমলিজিক্যাল নিশ্চয়তা তেমনভাবে পাওয়া যায়না।
ওহির ক্ষেত্রে এই সমস্যা নাই। কারন আল্লাহ মিথ্যা দেখেননা, মিথ্যা বলেননা, মিথ্যা শুনেননা। তিনি সর্বশক্তিমান। তাই তিনি কাউকে কোন তথ্য পাঠাতে চাইলে সেই তথ্য যে বিশুদ্ধভাবে পৌছেছে তা নিশ্চিত করা তাঁর জন্য খুব সহজ।
এভাবে ওহি বিশুদ্ধ ইলমের ধারক। কিন্তু ওহি একটি অলৌকিক বিষয়। ওহি ইলমে গাইবের বিষয়। ফলে এটি মানে ওহি ঐতিহাসিক সংরক্ষন পদ্ধতি অংশ নয় বরং তাঁর চেয়ে উন্নত পদ্ধতি।
এই আলোচনায় আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে অলৌকিকতা কিন্তু ঐতিহাসিক সংরক্ষন পদ্ধতির অংশ নয়। যেমন ধরেন ইলহাম, কাশফ বা স্বপ্নের ভিত্তিতে কেউ কোন হাদীস বললে মুহাদ্দিসরা তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করবেন। যদিও হাদীসে আছে নবুওয়্যাতের ৪৬ ভাগের এক ভাগ হচ্ছে স্বপ্ন। আমি বলছিনা এটা বিশুদ্ধ উদাহরন।
কারন ওহি হচ্ছে নিশ্চিত জ্ঞান কিন্তু ইলহাম, কাশফ বা স্বপ্ন নির্ভুল হওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু বোঝানোর জন্য কাছকাছি একটা উদাহরন দিলাম।
ঐতিহাসিক পদ্ধতির ব্যাপারে আমাদের একটা জিনিস অবশ্যই বুঝতে হবে, আমি চাঁদ তারা ধরতে পারিনা বলে চাঁদ তারা মিথ্যা নয়। শিয়াল আঙ্গুর খেতে পারেনি বলে বলেছে আঙ্গুর ফল টক।
কিন্তু প্রজ্ঞাবান কোন মানুষ তা করতে পারেনা। তারা যেখানে বাসে যাওয়া সুবিধা সেখানে বাসে যায়, যেখানে বাসে যাওয়া যায়না সেখানে প্লেনে যায়। আমার ৫০ তম পূর্ব পুরুষের অস্তিত্বের কোন প্রমান আমার কাছে নাই আমার অস্তিত্ব ছাড়া। কিন্তু তিনি ছিলেন। খেয়েছেন, পড়েছেন, ঝগড়া করেছেন, প্রেম করেছেন। সবই করেছেন। কিন্তু তা সম্পর্কে ঐতিহাসিক পদ্ধতি দিয়ে জানা সম্ভব নয়। ফলে তাদের জীবনাচার অনৈতিহাসিক কিন্তু অসত্য নয়।
এখন আসেন আলোচ্চ নবিদের ঐতিহাসিকতা বিষয়ে। কুরআন ওহি এবং নিশ্চিত জ্ঞান কিন্তু রাসুল (সা) এর সাথে অন্য নবিদের বস্তুগত নিরবিচ্ছিন্ন চেইন নেই। আর বাইবেল গুলোর কোন মান নেই। কারন বাইবেলের বর্ননাসূত্র প্রচন্ড জয়িফ হাদীসের চেয়েও জয়িফ। মওযু সনদগুলোর সাথেই এগুলোর বিরাট অংশের তুলনা চলে।
ওল্ড টেস্টামেন্টের সবচেয়ে পুরোনো আর্কিওলজিক্যাল মাসহাফ হচ্ছে ডেড সি স্ক্রল। যা মুসা (আ) এর প্রায় ১০০ বছর পরে লেখা। দাউদ (আ) বাইবেলের প্রথম নবি যার আর্কিওলজিক্যাল এভিডেন্স পাওয়া যায়। তাঁর সময়ের একটি শিলালিপি পাওয়া গিয়েছে যেখানে হাউস অব দাউদ লেখা আছে। তাছাড়া তার বাড়ির প্রাচিরের কিছু অংশ জেরুজালেমের প্রাচীন অংশে পাওয়া যায়।
কিন্তু তাঁর পূর্বের কোন নবিকে আমরা ঐতিহাসিক পদ্ধতির মাধ্যমে পাইনা। পাই ওরাল ট্রেডিশনে যার কোন সনদ নাই।
কিন্তু এসকল নবীর উপর ইমান আমরা রাখি কারন ঐতিহাসিক পদ্ধতির পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতার কারনে আমরা নবীদের ব্যাপারে সেপদ্ধতিতে জানতে না পারলেও আমরা অপেক্ষাকৃত অনেক উন্নত পদ্ধতি ওহির মাধ্যমে এসকল নবিদের ব্যাপারে জানতে পারি।
এজন্যই কুরআনকে অন্যান্য নবিদের সত্যায়নকারি বলা হয়। কেন কারন কুরআন যদি মিথ্যা হয় তবে অন্য নবিদের সত্যতা সম্পর্কে জানার আমাদের কোন উপায় নাই।
পশ্চিমা জ্ঞানতাত্ত্বিক ধারাসমূহের স্ট্রাকচারাল লেভেলেই প্রচুর গলদ আছে। নিজের সীমানায় এরা দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করলেও এদের অনেক নো গো জোন আছে। এদের সীমানা পার হলেই এরা অত্যন্ত দূর্বল।
এজন্যে বিজ্ঞানবাদীরা হাদীস সংকলনের ইতিহাসের উপর আপত্তি তোলে কেবলমাত্র হাদীস সংকলনের প্রক্রিয়া "অবৈজ্ঞানিক" বলে, বিজ্ঞান ব্যতীত জ্ঞানের অন্য সকল ধারাকে অস্বীকার করে বর্জন করে, এটা নিছক একটা পাগলামি। এভাবে তারা মুসলিমদের বিভ্রান্ত করছে।
 
ফারদিন ভাই 

Monday, November 7, 2022

বউ আপনাকে পিটালে কি করবেন?

 প্রশ্ন . আমার স্ত্রী আমাকে বিয়ের পর থেকেই অকথ্য নির্যাতন করে। সব সময় আমাকে টাকাপয়সার জন্য চাপ দেয়। আমার মা–বাবার সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করে। সে আমার গায়েও অনেকবার হাত তুলেছে। সম্প্রতি সে এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, সে আমার মা–বাবার সামনে আমাকে মারধর করে। আমার মাকে মারতে উদ্যত হয়। একজন পুরুষ হয়ে আমি এই পরিস্থিতিতে আইনের দ্বারস্থ হতে পারি?

উত্তর: বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার আছে। নারী ও শিশু নির্যাতন আইন নারী ও শিশুদের সুরক্ষার জন্য একটি বিশেষ আইন। পুরুষদের জন্য কোনো বিশেষ আইন নেই। তবে আপনি যেকোনো ব্যক্তির দ্বারা শারীরিকভাবে নির্যাতিত হলে, দেশের অন্যান্য আইনে আপনার আশ্রয় গ্রহণ করার পরিপূর্ণ অধিকার আছে। যেকোনো মানুষের বিচার চাওয়া এবং বিচার পাওয়া একটি সাংবিধানিক অধিকার। কাজেই আপনি বিচার পাবেন না, এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। যেহেতু আপনার স্ত্রীর দ্বারা আপনি শারীরিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন, কাজেই আপনার উচিত হবে নিকটস্থ থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা।

এ ছাড়া তাঁর কারণে পারিবারিক বা সামাজিক শান্তি–শৃঙ্খলা বিনষ্ট হওয়ায়, কোনো কলহ-বিবাদ তৈরির আশঙ্কা কিংবা বিরক্তিকর কোনো কাজের আশঙ্কা দেখা দিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে পারেন। দণ্ডবিধির ধারা ৩২৩–এ স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দানের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এখানে বলা আছে, কেউ যদি স্বেচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দান করে তার শাস্তি হবে ১ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ১০০০ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড। আপনি চাইলে আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এসব আইনের অধীনে প্রতিকার চাইতে পারবেন

 

LIAISON OFFICE AND BRANCH OFFICE: DIFFERENCES

 

LIAISON OFFICE AND BRANCH OFFICE: DIFFERENCES

This week Your Advocate is Barrister Omar Khan Joy, Advocate, Supreme Court of Bangladesh. He is the head of the chambers of a renowned law firm, namely, ‘Legal Counsel’, which has expertise mainly in commercial law, corporate law, family law, employment and labor law, land law, banking law, constitutional law, criminal law, IPR and in conducting litigations before courts of different hierarchies. Our civil and criminal law experts from reputed law chambers will provide the legal summary advice.

Query
I have found your details from an article published in the Bangladeshi daily, the Daily Star. Your article helped us in deciding on a legal matter, which we would have otherwise taken to a lawyer. We have yet another query and we will be obliged if you may also publish your reply in the said newspaper. I represent a large multinational company having our head office in a European country. We are having some business relationship with some Bangladeshi companies for few years now and the same are only increasing. We are planning to have an official establishment in Bangladesh, preferably in Dhaka city. But, we do not want to do any direct business through the said office. Can you please advise us on the difference between a branch office and a liaison office under the Bangladeshi law?

Response
Thank you very much for your query. I am delighted to know that your company is willing to establish its office in Bangladesh. There are a good number of foreign offices that are maintaining either a liaison or a branch office in Bangladesh for many years and have not gone for incorporation of either a joint venture or a fully foreign owned company. This is largely your business decision. The basic distinction between a branch and a liaison/rep office is more or less the same in Bangladesh as in the other parts of the world. In short, a liaison office cannot do any money generating activity while the branch office can actually do business and earn profit like a company. For your better understanding, I take this opportunity to give you further brief explanation of the two.
Liaison Office: A Liaison Office is an establishment that is established under the Bangladesh Board of Investment (BOI) authority. The activities of a liaison office or representative office are ‘very restricted’. Such restrictions are imposed by the terms of the registration documents. Most commonly, liaison offices are not allowed to generate any income of its own and foreign remittance of USD 50,000/- for a year from parent company is imposed (as expenses for maintenance of the office). BOI may also impose a condition for inward remittance of USD 50,000/- within two months of its registration to meet the establishment cost and expenses for the first six months. BOI generally allows liaison offices to undertake market research, networking on behalf of parent company to expand business, assisting and coordinating between parent company and local agents etc. After getting the permission from the BOI to set up the liaison office, you need to take permission from the central bank, i.e. Bangladesh Bank and a security clearance from the Ministry of Home shall have to be obtained. Permission for the liaison office is generally granted for 3 years and needs to be extended thereafter in every 2 years.
Branch Office: A Branch Office of a foreign entity is also registered under BOI authority. In addition, it has to be also registered (certain documents to be filed) under the Companies Act with the Registrar of Joint Stock Companies and Firms (‘RJSCF’). Branch Office is allowed to undertake activities generating income or profit. However, such activities are generally restricted to some extent by BOI at the registration. Permission to open and continue a Branch Office is given for a specified time and needs to be renewed from time to time. In order to establish a branch office, the parent company will have to make an application to BOI with certain documents and thereafter file some documents with the RJSC. The Branch Office will be incorporated under the Memorandum and Articles of Association of the Parent Company. The Branch Office’s activities, therefore, shall have to be within the purview of the said Memorandum of Association (“MOA”) and Articles of Association (“AOA”). The Name of the Branch office will have to be the same as the Parent Office. You may, however, indicate on the letterheads of the Branch Office that the entity has a Rep/Country office in Bangladesh and include its local address thereafter. Once the permission is obtained, you may proceed to open up a bank account and your nominated banker/legal adviser shall assist you to obtain Bangladesh Bank (central bank of Bangladesh) permission to operate a bank account with any scheduled bank in Bangladesh. The Branch office will thereafter obtain Trade License from the City Council, Tax Identification number from National Board of Revenue and security clearance from Ministry of Home Affairs. It shall also have to comply with any other requirement stipulated in the Registration letter. Prior to these, the Branch Office will have to enter into a contract to obtain a registered office address.
I hope that the above shall help you in having a primary understanding and help you to take your decision. Though I understand that one the previously published article has helped you to solve a legal query, I would still strongly advise you to take professional legal help while setting a branch/liaison office in Bangladesh. I welcome you and your organization to Bangladesh and hope that your office will be able to work smoothly once the same is set.

 

Branch & Liaison Office Registration in Bangladesh

 

Branch & Liaison Office Registration in Bangladesh

 

1. Formation of a Branch Office

A Branch Office of a foreign company can engage in commercial activities with prior approval of the Board of Investment (“BIDA”). A Branch Office may have local source of income from the approved field of business activities in Bangladesh with the prior approval of the Inter-Ministerial Committee and with proper justification and sufficient supporting documents. The documents required to form a Branch Office in Bangladesh are same as the Liason/Representative office below.

In our opinion, this is not  viable option for the project company renewal of branch office permission is required and further it cannot be an special purpose vehicle suitable for the project to carry out of balance sheet functions, separated from the parent company.


2. Formation of a Liaison / Representative Office

Under the laws of Bangladesh, a Liaison office and a Representative office have the same meaning.

A Liaison / Representative Office of a foreign Company can perform very limited activities, which includes:

- maintaining liaison / coordination between principal and local agents, distributors / exporters’ institutions through correspondences, personal contracts and other electronic media.

- collection, compilation, analysis and dissemination of business information related to its field of activities as mentioned in the approval letter of BIDA.

- A Liaison / Representative Office will have no local source of income in Bangladesh. All setup and operational costs including salaries of the expatriates and local employees of the Liaison or Representative Office will have to be borne by the parent company aboard.

- No outward remittances of any kind from Bangladesh sources will be allowed except the amount brought in from abroad, i.e. the unspent part.


2.1 Branch / Liaison Office as a Type of Business Entity

A Branch or Liaison Office is a proper legal entity after it is registered with the BIDA in Bangladesh. It is considered an extension of the foreign company and not as a separate legal entity. Unlike a Bangladeshi private limited company, the parent company of a Branch or Liaison Office is implicitly liable for all the debts and liabilities of the Branch or Liaison Office and hence its activities are also limited and therefore not a viable option.


3. Key facts about both Branch and Liaison Office in Bangladesh


- The name of the Bangladeshi Branch or Liaison Office must correspond to the name of the foreign company.

- The structure of the Branch of Liaison Office and its activities are directed by the foreign company’s Memorandum and Articles of Association. There is no separate Memorandum and Articles of Association for the Branch or Liaison Office.

- A Branch or Liaison Office must have an office address located in Bangladesh.

- The activities of a Branch or Liaison Office shall remain confined to the areas and for the period of time mentioned and approved in the approval letter issued by the BIDA. If the foreign company intends to continue the Branch or Liaison Office beyond the period approval, it will have to apply for necessary renewal / extension in the prescribed form with proper documents at least 2 (two) months before the expiry of the current term.

- If the approved Branch or Liaison Office of the foreign company intends to employ any foreign nationals(s) in its Office, work permits should be obtained from the BIDA, and permission from Bangladesh Bank, under section 18A of the Foreign Exchange Regulation Act, 1947 will be required.

- An amount of foreign exchange equivalent to the sum of not less than US$ 50,000 or equivalent as estimated initial establishment cost and 6 (six) months operational expenses of the Branch or Liaison Office must be brought in as an inward remittance in Bangladesh within 02 (two) months from the date of issuance of the BIDA permission letter. For this purpose, the Branch or Liaison Office shall have to open an account with any scheduled bank of Bangladesh as per the instructions contained in the Guidelines for Foreign Exchange transactions for receipt of remittances.

- Quarterly return of incomes and expenditures out of remittances received from abroad have to be submitted to the BIDA, concerned Bank, National Board of Revenue and Bangladesh Bank with documentary evidence.

- Any change(s) of present address has to be intimated to the BIDA for necessary action and approval before the proposed change is carried out.

- The permitted Office shall have to obtain clearances / licenses from the concerned government agencies, as and where required, under the existing rules of the country.

- The permitted Office shall have to pay duty / income tax / VAT / revenues and other taxes payable to the government under the existing laws of Bangladesh. The rate of VAT is 15% and income tax is 32.5%. Duty is variable depending on the import assessable value.

- Deduction of taxes at source while paying office / house rent, salaries, and bills for purchased goods, services and contract work has to be made, and subsequently deposited to the designated government accounts as per provisions of Bangladesh Income Tax Ordinance, 1984. For the purpose of deduction of taxes at source and VAT, enterprises shall have to obtain Taxpayer Identification Number (TIN) from the National Board of Revenue.

- Approval of Branch and Liaison Offices and work permit for foreign nationals will be made on the condition of security clearance from the Ministry of Home Affairs. The Ministry of Home Affairs will provide security clearance within 45 days of issuance of permission letter under the existing Visa policy.

- For establishing more than one Office of the permitted Branch or Liaison Offices in Bangladesh, the foreign company shall have to take separate prior permission from the BIDA.


4. Documents Required for BIDA Approval

In general, the following documents and information are required for approval of a Branch or Liaison Office in Bangladesh:

  1. Application in prescribed form signed by the authorized person for establishment of Branch / Liaison / Representative Office - 4 copies.
  2. Memorandum and Articles of Association and Certificate of Incorporation of the parent company.
  3. Name and nationality of the directors / promoters of the parent company.
  4. Audited Accounts of the last financial year of the parent company.
  5. Parent company’s board of directors’ resolution regarding opening of Branch / Liaison / Representative Office in Bangladesh.
  6. Proposed organogram of the Branch / Liaison / Representative Office showing the posts to be occupied by both expatriates and local personnel.
  7. Details of activities to be performed through the proposed Branch / Liaison / Representative Office in Bangladesh.
  8. Forwarding Letter to the BIDA.

The Documents (item 2-5) must be attested by the concerned Bangladesh mission  or mission of the respective country in Bangladesh / respective country’s apex business chamber / local business chambers. Any documents not in English must be translated in English before submission. It should also be noted that 4 (four) copies of all the documents must be submitted to the BIDA. The BIDA may ask for further documents after reviewing the above mentioned documents.

A fee of Tk. 25,000 is required to be paid through treasury chalan (code no. 1-3901-0001-1876) of Bangladesh bank or any branch of Sonali Bank and the original copy of the chalan has to be submitted to the BIDA.


5. Registration Procedure and Timeline

All documents should be submitted to the BIDA physically. After proper scrutiny of all documents, the BIDA officials will place the application and documents before the Inter-Ministerial Committee. The Committee will review the documents and upon scrutiny, it may ask for further documents or a physical presentation. If the Committee is satisfied, it will provide the approval. The Inter-Ministerial Committee usually sits twice every month. Usual timeline for obtaining the approval from BIDA is around one month. Approval is usually provided to open a Branch or Liaison Office initially for a period of 3 (three) years which can be extended later.

 

Saturday, August 27, 2022

পোকামাকড়ের আগুনের সাথে সন্ধি - Friendship that burns you, destroys you for all

 পোকামাকড়ের আগুনের সাথে সন্ধি

 


 

বর্ষাকাল আসলে একটা বিরক্তিকর ব্যাপার ঘটে। পোকামাকড়ের উৎপাত খুব বেড়ে যায়। ঘরের ভেতর-বাহির, খেত-খামার, গ্রাম, শহর—সবখানেই। সাধারণত সন্ধ্যার পর থেকে উৎপাত শুরু হয়। চারপাশ অন্ধকার হয়ে এলে সবাই যখন বাতি জ্বালায়, তখনই তারা আত্মপ্রকাশ করে। এজন্য অনেক সময় পোকামাকড়ের জন্য আলো দিয়েই ফাঁদ তৈরি করা হয়।

.

পোকামাকড়ের স্বভাব হলো, তারা আলোর প্রতি মোহাবিষ্ট থাকে। ফলে কোনটা আলো আর কোনটা আলেয়া, সেটা পার্থক্য করতে পারে না। অনেক সময় নিরেট আলো ভেবে সন্ধি করে বসে আগুনের সাথেও। ফলাফল—মৃত্যু!

.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঠিক এরকমই একটি উপমা দিয়ে সাহাবিদেরকে একটি বিষয় বুঝিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

 

আমার অবস্থা সে লোকের অবস্থার মতো, যে আগুন জ্বালিয়েছিল, তখন তাতে তার চতুষ্পার্শ্ব আলোকিত হলো, তখন পতঙ্গ ও সেসব জন্তু যা আগুনে পড়ে থাকে, তাতে পড়তে লাগল আর সে লোক সেগুলোকে বাধা দিতে লাগল। তবে তারা তাকে হারিয়ে দিয়ে তাতে ঢুকে পড়তে লাগল।”

 

.

তিনি বলেন, “এটাই হলো তোমাদের অবস্থা আর আমার অবস্থা। আমি আগুন থেকে রক্ষার জন্য তোমাদের কোমরবন্ধগুলো ধরে টানি ও বলি যে, ‘আগুন হতে দূরে থাকো, আগুন থেকে দূরে থাকো’; কিন্তু তোমরা আমাকে পরাস্ত করে তার মধ্যে ঢুকে পড়ছ।”[১]

.

এই হাদীসটা প্রথম যখন পড়েছিলাম, তখন হৃদয়ের খুব গভীর থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মুগ্ধতা অনুভব করেছিলাম। কী অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন তিনি। হৃদয়ছোঁয়া উপমার কথা নাহয় একপাশে রেখে দিলাম; উম্মতের প্রতি কত গভীর দরদ তিনি লালন করতেন, তা এই হাদীসের কথাগুলো থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। মানুষ পোকামাকড়ের মতো আগুনে ঝাঁপ দিয়ে অবুঝ আত্মহুতি দিতে চায়, আর তিনি তাদের কোমর টেনে ধরে আগুন থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতেন! সুবহানাল্লাহ! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

.

কোরিয়ান বয় ব্যান্ড বিটিএসের নাম শুনেনি, এমন মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া ভার। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেও বিটিএস এখন হটটপিক। বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের জন্য বিটিএস এখন এক ভয়াবহ ফিতনার নাম। আমরা প্রথমে গায়ে মাখিনি। গানবাজনা করে খায় এমন ফিতনাবাজ শিল্পী তো আমাদের নিজেদের দেশেও অনেক আছে। বিটিএস কি এর চেয়ে বেশি কিছু না কি! কিন্তু যখন একটু কৌতুহলী হয়ে বিটিএসের ভক্তদের সম্পর্কে হালকাপাতলা ঘাঁটাঘাঁটি করলাম, তখন আমাদের চোখ ছানাবড়া

.

বিটিএসের ভক্তদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুলপড়ুয়া টগবগে প্রাণোচ্ছল কিশোরী মেয়ে। কিন্তু এরা অন্যান্য কিছুর ভক্তদের মতো নয়। এরা নিজেদেরকে পরিচয় দেয় আর্মি হিসেবে। তারা বিটিএস আর্মি। কোনো দেশের আর্মি যেমন সে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজেদের বিলিয়ে দেয়, এরাও তেমনি তাদের হিরোদের(!) মান-ইজ্জত বাঁচাতে সর্বদা সচেষ্ট থাকে। বিটিএস নিয়ে কেউ কোনো সমালোচনা করলে তারা আঘাত পায়। প্রতিপক্ষকে কাউন্টার দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে

.

প্রিয় শিল্পীর জন্য এরকম একটুআধটু পাগলামো করা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে খুব বেশি অস্বাভাবিক না যারা মূলত দ্বীনদার নয় বা দ্বীনের বুঝ ঠিকমত পায়নি বাইরে থেকে দেখে মনে হয় দ্বীনের বুঝ আছে – যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী, তাহাজ্জুদ গুজার, ফরয ও নফল সাওম পালনকারী, হারাম হালাল নিয়ে বেশ সচেতন, “বয় ফ্রেন্ড” নাই, নিয়মিত কুরআন হাদীস পড়েন, অন্যদের দাওয়াতও দেন – এমন অনেকও এই বিটিএস বিষে আক্রান্ত। তথাপি, তাদের এই “পছন্দের” ব্যাপারটা এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকলে এটা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তারও কিছু ছিল না আমাদের। কিন্তু ঘটনা এরচেয়েও অনেক বেশি ভয়াবহ এবং চিন্তাজাগানিয়া

.

আমাদের অবুঝ ভাইবোনগুলো বিটিএসের ফিতনায় এতটাই বেহুশ হয়ে গেছে যে, কেউ বিটিএসের সমালোচনা করলে তারা আক্রমণাত্মকভাবে তেড়ে আসে। এমনকি কোনো আলিম কিংবা দাঈ যদি ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে বিটিএস-এর ভুলগুলো ধরিয়ে দেন, তখন এই বিটিএস আর্মি নামক ভক্তরা ইসলামকে নিজেদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নেয়। কেউ কেউ তো বলেও বসে যে, বিটিএস-ই নাকি তাদের রব! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন! আবার যারা বলে না, তাদের আচরণে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠে যে তাদের ইসক ঠিক কতটা বিটিএস এর জন্য। তারা আল-ওয়ালা ওয়াল বারা মানে না (আল্লাহর জন্য ভালবাসা, আল্লাহর জন্য বৈরীতা/শত্রুতা)। ভালবাসার একক ও একমাত্র মানদন্ড আল্লাহর জন্য। আপনি আল্লাহকে ভালবাসবেন, আল্লাহর জন্য ভালবাসবেন। আর বৈরীতা করতেও আল্লাহর জন্যই করবেন। নিজের ব্যক্তিগত কোন কারণে নয়।

.

আমাদের স্কুলপড়ুয়া ছোট্ট বোনগুলো বিটিএস-এর পৌরুষহীন ছেলেগুলোর প্রেমে এতটাই মজে গেছে যে, তাদেরকে নিয়ে পর্বের পর পর্ব ফিকশনাল লাভ স্টোরি লিখে ফেলছে। এই নপুংসক ছেলেগুলো হয়ে গেছে তাদের স্বপ্নের পুরুষ! আমাদের ছোট্ট বোনগুলোর মানসিক রুচিবোধের এমন ভয়াবহ বিপর্যয় দেখে আহত হৃদয় আরও আহত হলো। আমাদের এই মুসলিম বোনদের ভালবাসা এতটাই সস্তা হয়ে গেছে যে সেটা এই kফিr গায়করা এমনিই পেয়ে যায়, অনেকেতো তাদেরকে “জামাই”ও বলে (নাউযুবিল্লাহ্) (সাতজনের বউ একজন! আস্তাগফিরুল্লাহ্ )। পোকামাকড়ের মতো তাদেরকে বিটিএস নামক ফিতনার আগুনে হুমড়ি খেয়ে পড়া দেখে হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হলো শুধু হৃদয়ই ক্ষতবিক্ষত হয় না, নিজেদের শরীরও ক্ষতবিক্ষত করে।

.

হে আমার সম্মানিতা বোন!

তোমার রুচিবোধ তো এমন ছিল না। তুমি কী করে এমন নপুংসক ছেলেদেরকে নিজের স্বপ্নপুরুষ বানিয়ে নিলে, যারা নিজেরাই মেয়েদের বেশ ধারণ করে থাকে? তুমি কি জানো না যে, আমাদের নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐসব পুরুষদেরকে লা’নত দিয়েছেন, যারা নারীদের বেশ ধারণ করে?[২]

.

তোমার স্বপ্নপুরুষ হবার কথা তো ছিল তাঁরা, যারা ছিলেন আল্লাহর রাস্তায় সীসাঢালা প্রাচীরের মতো। যাঁদের বীরত্বের কথা স্বীকার করে তাঁদের শত্রুরাও। যাঁদের বীরত্বে পৃথিবী দেখেছিল খিলাফতের সোনালি শাসন! তোমার স্বপ্নপুরুষ তো হবার কথা ছিল তাঁরা!

.

বোন আমার!

তুমি কেমন করে এমন কাfiরদের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছ, যারা পৃথিবীর বুকে সমকামিতার মতো ঘৃণ্য কাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে? অথচ সমকামিতার অপরাধের জন্য আমাদের রব পুরো একটি জাতিকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে দিয়েছিলেন

.

তুমি হয়তো বলবে, ওরা তো সমকামী না। বোন আমার, শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে আমরাও এটা বলছি না যে, ওরা সমকামী। তবে ওদের সমকামী আচরণগুলো কি তুমি দেখোনি?[৩] তারা যে সমকামিতার পক্ষে কথা বলে, তা কি তুমি জানো না?[৪] তারা যে সমকামীদের প্রাইড মান্থ উদ্‌যাপনে স্টেইজ শো করে, তা কি তুমি দেখোনি?[৫]

.

আমার বোন!

তুমি কি জানো, কেন তুমি তাদের আচরণে প্রভাবিত হচ্ছ? কারণ, তুমি তো তাদের গানের জাদুতে বেহুশ হয়ে গেছ! এখন আবার বোলো না যে, তুমি তাদের গানের ভাষাই বুঝো না। গানের ভাষা বুঝা জরুরি কিছু না। গানের মাঝে থাকা মিউজিক তোমার অন্তরকে বশ করে ফেলেছে। কেননা, মিউজিক হচ্ছে অন্তরের মদ। এই মদ তোমার অন্তরে নিফাক জন্ম দিয়েছে। ফলে তুমি তোমার ধর্মের বিরোধিতা করে হলেও বিটিএস-এর সমর্থন করে যাচ্ছ!

.

আর ভাইয়ারা,

তোমরা কেন গায়কদের মতো হতে চাচ্ছ, যেখানে গায়ক-গায়িকা হওয়া, গান শেখা – এসব কিছুই রাসূল (সাঃ) কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।[৫.১] আর দের পৌরুষ বলতে কিছু কি আছে? যাদের মধ্যে পুরুষালী আচরণের চেয়ে মেয়েলি আচরণই বেশি? তোমাদের সামনে কি সত্যিকারের পুরুষদের উদাহরণ নেই? তোমরা কি সেইসব বীরপুরুষদের দেখো না, যারা যুগে যুগে পৃথিবীতে ইতিহাস রচনা করে গেছেন? তোমরা কি সেইসব বীরপুরুষদের দেখো না, যারা যুগে যুগে আল্লাহর শত্রুদের দম্ভ চূর্ণ করে দিয়েছেন, বুলন্দ করেছেন আল্লাহর কালিমাকে? তাঁরাই তো তোমাদের আইডল হবার কথা ছিল

.

আদরের ভাইয়া ও আপুরা!

তোমরা কাদেরকে অনুসরণ করছ, কাদেরকে ভালোবাসছ একটু চিন্তা করে দেখো। বিটিএস সদস্যরা তো আল্লাহদ্রোহী কাfir। তারা তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষকে জাহান্নামের দিকে আহ্বান করছে। এরা যদি আল্লাহর ওপর ঈমান আনা ছাড়াই মৃত্যুবরণ করে, তাহলে তো নিশ্চিত জাহান্নামে যাবে। জাহান্নামের চিরস্থায়ী বাসিন্দা হবে। তোমরা এমন কিছু লোকের অনুসরণে মত্ত হয়ে গেছ, যারা কি না জাহান্নামের পথের পথিক! আর যার অনুসরণ করা হয়, যাকে মহব্বত করা হয়, তার সাথেই তার হাশর হয়, তার সাথেই তার পরিণতি নিহিত। [৫.২]

.

মুসলিম হিসেবে তোমরা কি আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সাথে হাশর করতে চাও না? না কি এসব জাহান্নামের পথিকদের সাথে হাশর করতে চাও? কেননা, দুনিয়াতে তুমি যাকে ভালোবাসবে, যার অনুসরণ করবে, কিয়ামাতের দিন তোমার হাশর তার সাথেই হবে।[৬] ভেবে দেখো, তোমরা কি বিটিএস-এর সাথে হাশর করতে চাও না কি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে হাশর করতে চাও!

.

ভাইয়া ও আপুরা!

ভাই হিসেবে তোমাদের এমন পথচ্যুতিতে আমরা ব্যথিত হই। আগুনের সাথে তোমাদেরকে সন্ধি করতে দেখে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়! চোখের সামনে তোমাদেরকে জাহান্নামের দিকে দৌড়াতে দেখে আমাদের অন্তর ভয়ে কেঁদে ওঠে!

.

বিশ্বাস করো, আমরা স্বপ্ন দেখি—সবাই মিলে জান্নাতের সবুজ বাগানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আড্ডা দেব! তোমরাও কি এমন সৌভাগ্যবান হতে চাও না? তাহলে আজই ফিরে আসো তোমাদের রবের পথে। থুথু মারো বিটিএস কালচারের মুখে। প্লিজ, আগুনের সাথে সন্ধি কোরো না! পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে! দুনিয়াতেও, আখিরাতেও!

 

 

তথ্যসূত্র :

[১] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং – ৫৮৫১

[২] সুনানু আবী দাঊদ, হাদীস নং – ৪০৯৭, সহীহ হাদীস

[৩] বিটিএসের সমকামী আচরণ - https://www.youtube.com/watch?v=ArM6S8JZnyY

[৪] বিটিএসের সমকামপ্রীতি (সময় সংবাদ) - https://tinyurl.com/2zc92up6

[৫] প্রাইড মান্থ সেলেব্রেশন কনসার্ট - https://tinyurl.com/btspridemonth

[৫.১] আল্লাহ তায়ালা গান বাজনা হারাম করেছেন সূরা লোকমান ৬

এক শ্রেণীর লোক আছে, যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে অন্ধভাবে অসার বাক্য ক্রয় করে (বেছে নেয়) এবং আল্লাহর প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। (সূরা লুক্বমান ৬)

রসুল (সাঃ) বাজনা শুনতে নিষেধ করেছেন এবং রাসুল (সাঃ)

যখন বাজনার শব্দ শুনতেন তখন আঙ্গুল দিয়ে কান বন্ধ করতেন সহিহ বুখারি ২৯০৬ সহিহ মুসলিম ১৯৩৮ নাম্বার হাদিস

আবু দাউদ ৪৮৪৪

 

একদা ইবন উমার (রাঃ) বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনে তাঁর কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেন। তিনি সেখান থেকে দূরে গিয়ে আমাকে বলেনঃ হে নাফি! তুমি কি এখনও কোন শব্দ শুনতে পাচ্ছ। আমি বলিঃ না। তখন তিনি তাঁর কান থেকে আঙ্গুল বের করে বলেনঃ একদিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম, তিনি এরূপ শব্দ শুনে-এরূপ করেন। আবু দাউদ ৪৮৪৪

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা গায়িকা নারীদের ক্রয়-বিক্রয় করো না, তাদেরকে গান-বাজনা শিক্ষা দিও না, তাদের (ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা) ব্যবসায়ের মধ্যে কোন মঙ্গল নেই এবং এদের মূল্যও হারাম। এ প্রসঙ্গেই এই আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) “এমনও কিছু লোক আছে, যারা বাতিল অশ্লীল কাহিনীসমূহ ক্রয় করে আনে, যেন লোকদের অজ্ঞতাবশত আল্লাহ্‌ তা'আলার পথ হতে আলাদা করতে পারে এবং এ পথকে ঠাট্টা-বিদ্ধপ করতে পারে। এ ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে অপমানকর আযাব"- (সূরা লুকমান ৬)।

তিরমিজী ৩১৯৫ নাম্বার হাদিস

 

ঢোলক হারাম, বাদ্যযন্ত্র হারাম, তবলা হারাম এবং বাঁশীও হারাম।’ গানের জন্য যা কিছু আছে সব হারাম (বাইহাকী ২০৭৮৯)

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি খেল-তামাশা পছন্দ করি না এবং খেল-তামাশারও আমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। অর্থাৎ আমার সাথে বাতিলের কোন সম্পর্ক নাই। আল আদাবুল মুফরাদ ৭৯০ নাম্বার হাদিস

 

আব্বাস (রাঃ) বলেন। “এমন কতক লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্ৰষ্ট করার লক্ষ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে”তায়া হচ্ছে গান বাজনা

আল আদাবুল মুফরাদ ৭৯১ নাম্বার হাদিস

 

আনসার গোত্রের লোকেরা যে সব গান গেয়ে গর্ব করেছিল সে সব গান আবৃত্তি করছিল। এ সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাদর মুড়ে নিজেকে ঢেকে রেখেছিলেন। এ অবস্থা দেখে আবূ বাকর বালিকা দু’টিকে ধমক দিলেন

সহীহ : বুখারী ৯৮৭, ৩৫২৯, মুসলিম ৮৯২, নাসায়ী ১৫৯৩, ইবনু হিব্বান ৫৮৭৬ মিসকাত ১৪৩২

 

মহান আল্লাহ বলেন,

وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ

 

অর্থাৎ, মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞ লোকদের আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য অসার বাক্য ক্রয় করে এবং আল্লাহর প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে। ওদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। (লুক্বমানঃ ৬)

 

(২৩০৫) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) তিন তিনবার কসম খেয়ে খেয়ে বলেছেন, ‘উক্ত আয়াতে ‘অসার বাক্য’ বলতে ‘গান’কে বুঝানো হয়েছে। (তাফসীর ইবনে কাসীর ৩/৪৪১)

 

গান শুনা হারাম একেবারে পরিস্কার করে বলা হয়েছে

মূর্তি বা ছবি, হিংস্র জন্তুর চামড়া, (মহিলার) নগ্নতা ও পর্দাহীনতা, গান, (পুরুষের জন্য) সোনা ও রেশমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’’ (আহমাদ ১৬৯৩৫, ত্বাবারানী ১৬২৪০-১৬২৪১, সহীহুল জামে’ ৬৯১৪)

 

আল্লাহ তাদেরকে মাটিতে ধসিয়ে দেবেন এবং বানর ও শূকরে পরিণত, আল্লাহুআকবার

আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘অবশ্যই আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা পান করবে, তাদের মাথার উপরে বাদ্যযন্ত্র বাজানো হবে এবং নর্তকী নাচবে। আল্লাহ তাদেরকে মাটিতে ধসিয়ে দেবেন এবং বানর ও শূকরে পরিণত করবেন!’’ (ইবনে মাজাহ ৪০২০, ইবনে হিব্বান ৬৭৫৮, ত্বাবারানী ৩৩৪২, বাইহাকী ১৭১৬০, সহীহুল জামে’ ৫৪৫৪)

 

আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘অবশ্যই আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য মদ, জুয়া, ঢোল-তবলা এবং বীণা-জাতীয় বাদ্যযন্ত্রকে হারাম করেছেন।---’’ (আহমাদ ৬৫৪৭, সিলসিলাহ সহীহাহ ১৭০৮)

 

ডুল তবলা হারাম---।’’(ত্বাবারানী ১২৪৩৫, সিলসিলাহ সহীহাহ ১৮০৬)

 

ফিরিশতা সেই দলের সঙ্গী হন না; যে দলের সাথ মিউজিকের শব্দ থাকে।’’ (আহমাদ ২৬৭৭১, সহীহুল জামে’ ৭৩৪২)

 

মিউজিক ‘ঘন্টা বা ঘুঙুর হল শয়তানের বাঁশি।’’ (মুসলিম ২১১৪, আবূ দাঊদ ২৫৫৬, আহমাদ ২/৩৬৬, ৩৭২, বাইহাকী ৫/২৫৩

 

এখনি কি আপনারা গান শুনবে কিনা সেটি আপনারা যানেন

আমি শুধু তুলে ধরেছি গান বাজনা শুনা হারাম

এবং যারা গায় তাদের সব কিছু হারাম,তাদেরকে ভালোবাসাও হারাম যদি তাদেরকে ভালোবাসেন তাহলে তাদের সাথে আপনার হাসর হবে রাসুল (সাঃ) বলেছেন

من تشبه بقوم فهو منهم

 

جزاك لله خيرا يا اخي الكريم

[৫.২]

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَوَلَّوْا قَوْمًا غَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ قَدْ يَئِسُوا مِنَ الْآخِرَةِ كَمَا يَئِسَ الْكُفَّارُ مِنْ أَصْحَابِ الْقُبُورِ

 

অর্থ: হে মুমিনগণ! আল্লাহ তাআলা যাদের প্রতি ক্রুদ্ধ, তোমরা সে সম্প্রদায়ের সাথে বন্ধুত্ব করো না। তারা আখেরাত সম্পর্কে হতাশ হয়ে গেছে। যেমন কাফেরগণ কবরে দাফন-কৃত লোকদের সম্পর্কে হতাশ। সূরা মুমতাহিনা: ১৩

আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয়ে মসজিদে নববী হতে বের হচ্ছিলাম। এমন সময় মসজিদের দরজায় এক লোকের সাথে সাক্ষাৎ হল।

সে বলল: “হে আল্লাহর রসূল, কিয়ামত কবে সংঘটিত হবে?”

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “‏ مَا أَعْدَدْتَ لَهَا“তুমি কিয়ামাতের জন্যে কী প্রস্তুত করেছো?

আনাস রা. বলেন, তখন লোকটি যেন (এত বড় প্রশ্ন শুনে) ভয়ে পেয়ে নরম হয়ে গেল। তারপর বলল: “হে আল্লাহর রসূল! আমি তো কিয়ামতের জন্য বেশি পরিমাণ সলাত, সিয়াম ও দান-সদকা সংগ্রহ করি নি তবে আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসি।”

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ “তুমি তার সাথেই থাকবে যাকে তুমি ভালবেসেছ।” [সহীহ মুসলিম, হা/6608, অধ্যায়: সদ্ব্যবহার, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ও শিষ্টাচার (كتاب البر والصلة والآداب) পরিচ্ছদ: যাকে যে মানুষ ভালবাসে সে তার সাথেই থাকবে- হাদিস একাডেমী]

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,

، جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي رَجُلٍ أَحَبَّ قَوْمًا وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ‏”‏

জনৈক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল: হে আল্লাহর রাসূল, “সে ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি কী মনে করেন, যে একটি কউম বা জাতিকে ভালবাসে অথচ সে তাদের সাথে মিলিত হয় নি (অর্থাৎ ঈমান ও আমলের দিক দিয়ে তাদের সমপর্যায়ভূক্ত হয় নি।)

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ “মানুষ তার সাথেই থাকবে যাকে সে ভালোবাসে।”

[সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৭৭, অধ্যায়: সদ্ব্যবহার, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ও শিষ্টাচার (كتاب البر والصلة والآداب) পরিচ্ছদ: মানুষ তার সাথেই থাকবে যাকে সে ভালোবাসে- হাদিস একাডেমী]

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,

، جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي رَجُلٍ أَحَبَّ قَوْمًا وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ‏”‏

জনৈক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল: হে আল্লাহর রাসূল, “সে ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি কী মনে করেন, যে একটি কউম বা জাতিকে ভালবাসে অথচ সে তাদের সাথে মিলিত হয় নি (অর্থাৎ ঈমান ও আমলের দিক দিয়ে তাদের সমপর্যায়ভূক্ত হয় নি।)

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ “মানুষ তার সাথেই থাকবে যাকে সে ভালোবাসে।”

[সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৭৭, অধ্যায়: সদ্ব্যবহার, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ও শিষ্টাচার (كتاب البر والصلة والآداب) পরিচ্ছদ: মানুষ তার সাথেই থাকবে যাকে সে ভালোবাসে- হাদিস একাডেমী]

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,

، جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي رَجُلٍ أَحَبَّ قَوْمًا وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ‏”‏

জনৈক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল: হে আল্লাহর রাসূল, “সে ব্যক্তি সম্পর্কে আপনি কী মনে করেন, যে একটি কউম বা জাতিকে ভালবাসে অথচ সে তাদের সাথে মিলিত হয় নি (অর্থাৎ ঈমান ও আমলের দিক দিয়ে তাদের সমপর্যায়ভূক্ত হয় নি।)

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ “মানুষ তার সাথেই থাকবে যাকে সে ভালোবাসে।”

[সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৭৭, অধ্যায়: সদ্ব্যবহার, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ও শিষ্টাচার (كتاب البر والصلة والآداب) পরিচ্ছদ: মানুষ তার সাথেই থাকবে যাকে সে ভালোবাসে- হাদিস একাডেমী]

আনাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন,

: فَمَا فَرِحْنَا بِشَيْءٍ ، فَرَحَنَا بِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ

فَأَنَا أُحِبُّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ مَعَهُمْ بِحُبِّي إِيَّاهُمْ ، وَإِنْ لَمْ أَعْمَلْ بِمِثْلِ أَعْمَالِهِمْ

এই হাদিসটি শুনে এত বেশি বেশি আনন্দিত হয়েছি যে, আর কোন কিছুতে এত আনন্দিত হই নি। কারণ আমি নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম, আবু বকর রা. এবং ওমর রা. কে ভালবাসি। সুতরাং আমি আশা করি, তাদেরকে আমার ভালোবাসার কারণে কিয়ামতের দিন তাদের সাথেই থাকব যদিও আমি তাদের মত আমল করি নি।”

ইবনে তাইমিয়া রহঃ বলেন, “মানুষ তার প্রিয়জনের কাছে থাকার বিষয়টি স্বভাবজাত প্রবণতা; এর ব্যতিক্রম হয় না।” (মজুম ফতোয়া)

 

ইবনুল কাইয়েম রহঃ. বলেন: “প্রত্যেক ব্যক্তিকে কর্মগতভাবে তার সমগোত্রীয় ব্যক্তির সাথে মিলিত করা হবে। সুতরাং যারা আল্লাহর উদ্দেশ্যে একে অপরকে ভালবাসত তারা একসাথে জান্নাতে থাকবে আর যারা শয়তানের অনুসরণে একে অপরকে ভালবাসত তারা দুজন একসাথে জাহান্নামে থাকবে। সুতরাং মানুষ ইচ্ছা করুক অথবা না করুন তাকে তার সাথেই রাখা হবে যাকে সে ভালবাসত।” (যাদুল মাআদ ৪/২৪৮)

"যার সাথে যার মুহাব্বত তার সাথে তার কিয়ামত" সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছেঃ

 

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: رَأَيْتُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرِحُوا بِشَيْءٍ لَمْ أَرَهُمْ فَرِحُوا بِشَيْءٍ أَشَدَّ مِنْهُ، قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الرَّجُلُ يُحِبُّ الرَّجُلَ عَلَى الْعَمَلِ مِنَ الْخَيْرِ يَعْمَلُ بِهِ وَلَا يَعْمَلُ بِمِثْلِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ صحيح

 

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদেরকে একটি ব্যাপারে এতটা আনন্দিত দেখতে পেলাম যে, অন্য কোনো ব্যাপারেই এরূপ আনন্দিত হতে দেখিনি। তা হলো, এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে তার সৎকাজের জন্য ভালবাসে, কিন্তু সে তার মতো সৎকাজ করতে পারে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ প্রত্যেক ব্যক্তিই যাকে ভালোবাসে সে তার সাথী হবে।

(আবু দাউদ ৫১২৭,বুখারী,মুসলিম)

 

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى قِيَامُ السَّاعَةِ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الصَّلاَةِ فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ قَالَ " أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ قِيَامِ السَّاعَةِ " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " مَا أَعْدَدْتَ لَهَا " قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَعْدَدْتُ لَهَا كَبِيرَ صَلاَةٍ وَلاَ صَوْمٍ إِلاَّ أَنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ وَأَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ " . فَمَا رَأَيْتُ فَرِحَ الْمُسْلِمُونَ بَعْدَ الإِسْلاَمِ فَرَحَهُمْ بِهَذَا .

 

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট একজন লোক এসে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। কিয়ামাত কখন সংঘটিত হবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন। নামায সমাপ্তির পর তিনি প্রশ্ন করেনঃ  কিয়ামাত সংঘটিত হওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্নকারী লোকটি কোথায়? সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। এই যে আমি।

 

তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কিয়ামাতের জন্য কি প্রস্তুতি নিয়েছ? সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। আমি অবশ্য তেমন লম্বা (নাফল) নামাযও পড়িনি, রোযাও (নাফল) রাখিনি, তবে আমি নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তার রাসূলকে ভালোবাসি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ  যে লোক যাকে ভালোবাসে, কিয়ামাত দিবসে সে তার সাথেই অবস্থান করবে। তুমিও যাকে ভালোবাস তার সাথেই অবস্থান করবে। বর্ণনাকারী বলেন, তারা এ কথায় এতই সন্তুষ্ট হলেন যে, ইসলাম গ্রহণের পর মুসলমানদের আর কোন বিষয়ে এত খুশি হতে দেখিনি।

(তিরমিজি ২৩৮৫)

 

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ أَسْأَلُهُ عَنِ الْمَسْحِ، عَلَى الْخُفَّيْنِ فَقَالَ مَا جَاءَ بِكَ يَا زِرُّ فَقُلْتُ ابْتِغَاءَ الْعِلْمِ فَقَالَ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًا بِمَا يَطْلُبُ . قُلْتُ إِنَّهُ حَكَّ فِي صَدْرِي الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ بَعْدَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَكُنْتَ امْرَأً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتُ أَسْأَلُكَ هَلْ سَمِعْتَهُ يَذْكُرُ فِي ذَلِكَ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كَانَ يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفَرًا أَوْ مُسَافِرِيِنَ أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ لَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ . فَقُلْتُ هَلْ سَمِعْتَهُ يَذْكُرُ فِي الْهَوَى شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَبَيْنَا نَحْنُ عِنْدَهُ إِذْ نَادَاهُ أَعْرَابِيٌّ بِصَوْتٍ لَهُ جَهْوَرِيٍّ يَا مُحَمَّدُ . فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى نَحْوٍ مِنْ صَوْتِهِ هَاؤُمُ وَقُلْنَا لَهُ وَيْحَكَ اغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ فَإِنَّكَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ نُهِيتَ عَنْ هَذَا . فَقَالَ وَاللَّهِ لاَ أَغْضُضُ . قَالَ الأَعْرَابِيُّ الْمَرْءُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ . قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ "

 

ইবন আবূ উমার (রহঃ) ..... যির ইবন হুবাইশ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি সাফওয়ান ইবন আসসাল মুরাদী (রাঃ) এর কাছে চামরার মোজার উপর মাসেহ করার বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য এলাম। তিনি বললেনঃ হে যির! কি উদ্দেশ্যে তোমার আগমন? আমি বললামঃ ইলমের অন্বেষণে। তিনি বললেনঃ তালেবুল ইলমের জন্য ফিরিশতারা তাদের পাখনা বিছিয়ে দেন তার ইলম সন্ধানের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশে। আমি বললামঃ প্রসাব-পায়খানার পর (উযূর ক্ষেত্রে) চামড়ার মোজায় মাসেহ করার বিষয়টি আমার মনে সন্দেহের উদ্রেক হচ্ছে। আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের একজন। তাই আপনার কাছে জিজ্ঞেস করতে এলাম যে, এই বিষয়ে আপনি তাকে কিছু বলতে শুনেছেন কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা যখন মুসাফির থাকি তখন যেন গোসল ফরযজনিত কারন ব্যতীত (উযূ করার) তিন দিন তিন রাত আমাদের চামড়ার মোজা না খুলি, প্রস্রাব-পায়খানা ও নিদ্রা ইত্যাদি কারণের বেলায়ও নয়।

 

আমি বললামঃ মুহাব্বাতের বিষয়ে তাঁকে কিছু বলতে শুনেছেন কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম।আমরা তাঁর কাছে ছিলাম এমন সময় বেদুঈন উচ্চৈস্বরে তাকে ডাক দিয়ে বললঃ হে মুহাম্মাদ! তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মত আওয়াজে উত্তর দিলেনঃ এস। আমরা তাকে বললামঃ ওহে! তোমার আওয়াজ একটু নীচু কর। কেননা তুমি তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসেছ। আর তাঁর কাছে এরূপ করতে তোমাকে নিষেধ করা হয়েছে। সে বললঃ আল্লাহর কসম! আমি আমার আওয়াজ নীচু করতে পারব না। পরে ঐ বেদুঈন বললঃ কোন ব্যক্তি এক সম্প্রদায়কে ভালবাসে বটে কিন্তু তাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারে নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে যাকে ভালবাসবে, কিয়ামতের দিন সে তার সঙ্গেই থাকবে।

(তিরমিজি ৩৫৩৫)

 

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ تَقُولُ فِىْ رَجُلٍ أَحَبَّ قَوْمًا وَلَمْ يَلْحَقْ بِهِمْ؟ فَقَالَ:اَلْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

 

 আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাতে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল! ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে আপনার কি অভিমত? যে কোন কওম বা দলকে ভালোবাসে; কিন্তু তাদের সাথে (কখনো) সাক্ষাৎ হয়নি। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ সে ব্যক্তি তার সাথেই আছে, যাকে সে ভালোবাসে।

 

সহীহ : বুখারী ৬১৬৮, ৬১৬৯, ৬১৭০; মুসলিম ১৬৫-(২৬৪০), তিরমিযী ২৩৮৭, আবূ দাঊদ ৫১২৭, সহীহুল জামি‘ ৬৬৮৯, সহীহ আত্ তারগীব ৩০৩৩, বাযযার ৩০১৪, আহমাদ ১৩৩৮৮, আবূ ইয়া‘লা ৫১৬৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৫৭, শু‘আবুল ঈমান ৪৯৭, সুনানুর নাসায়ী আল কুবরা ১১১৭৮, দারাকুত্বনী ২, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৭২০৮, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ৭৯৫।

 

ব্যাখ্যাঃ (الْمَرْءُ مَعَ من أحبَّ) অর্থাৎ হাশরের মাঠে তুমি তার সাথে থাকবে যাকে তুমি ভালোবাস। এর কারণ হলো মানব জাতি অনুকরণপ্রিয়। যে যাকে ভালোবাসে তার নীতি, আদর্শ অনুসরণ করে ও তা জীবনে বাস্তবায়ন করে।

সে জন্য কিয়ামতের দিনেও সে তার বন্ধু হবে।

 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,

 

وَمَنْ يُطِعِ اللهَ وَالرَّسُولَ فَأُولٰئِكَ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِمْ

 

‘‘আর যারা রসূলের অনুসরণ করেন তারা (কিয়ামতের দিন) তাদের সাথে থাকবে যাদেরকে আল্লাহ অনুগ্রহ (নি‘আমাত) দান করেছেন’’- (সূরাহ্ আন্ নিসা ৪ : ৬৯)।

 

 أَحَبَّ قَوْمًا  অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি কোন কওম বা সম্প্রদায়কে ভালোবাসে, এ ভালোবাসা আল্লাহর ওয়াস্তে হওয়া চাই এবং যাকে ভালোবাসবে তার সৎ হওয়া চাই।

 

(وَلَمْ يَلْحَقْ بِهِمْ) কিন্তু তাদের সাথে তার কখনো সাক্ষাৎ হয়নি। ‘‘মিরকাত’’ গ্রন্থকার এর কয়েকটি অর্থ করেছেন- ১. তাদের সাহচর্য লাভ করেনি, ২. ‘ইলম বা বিদ্যায় তাদের সমপর্যায় পৌঁছেনি। ৩. ‘আমালে তাদের সমকক্ষ হয়নি। ৪. তাদের সাথে মিলিত হয়নি তথা তাদের দেখা পায়নি। তাদের কাজের মতো কাজও করেনি, শুধু তাদেরকে ভালোবাসে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

 

অত্র হাদীসটি দ্বারা বাহ্যিকভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, তোমরা নেক ও সৎ বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব কর, তাহলে তোমরা কিয়ামতের দিন তাদের সাথে থাকতে পারবে। যেমনটি অন্য একটি হাদীসে এসেছে- الْمَرْءُ عَلٰى دِينِ خَلِيلِه ‘‘ব্যক্তি (মানুষ) তার বন্ধুর ধর্মের উপর থাকে’’- (আবূ দাঊদ হাঃ ৪৮৩৩)। বাহ্যিকভাবে হাদীসটির মধ্যে উৎসাহ ও ভীতি এবং সতর্ক ও সাবধনতা রয়েছে।

 (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৩৮৬)

 

হাদীস দ্বারা পরোক্ষভাবে বুঝা যায় যে, ‘আলিম-‘উলামা ও সৎ লোকেদেরকে ভালোবাসা জান্নাত লাভের অন্যতম মাধ্যম। পক্ষান্তরে জাহিল ও অসৎ এবং অমুসলিমদেরকে ভালোবাসা জাহান্নামে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

 

 

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

 

[৬] সহীহ বুখারি, হাদীস নং – ৩৬৮৮