প্রশ্ন: বিবাহ পূর্ববর্তী কোন রিলেশনের কথা স্বামী /স্ত্রী কে জানানোর ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?
▬▬▬▬✪✪✪▬▬▬
উত্তর: বিজ্ঞ আলেমগণ বলেছেন: স্বামী বা স্ত্রীর জন্য তার সঙ্গীর অতীত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করা নাজায়েয। অনুরূপভাবে অতীত জীবনের যে পাপাচার থেকে তওবা করে নিয়েছে সেটা স্বামী/স্ত্রীর নিকট প্রকাশ করাও বৈধ নয়।
কারণ এতে দাম্পত্য জীবনে ফাটল সৃষ্টি হতে পারে। অথচ সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার ক্ষয় ক্ষতি ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে অপরিসীম তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বরং উভয়ের দেখা উচিৎ তার সঙ্গীর বর্তমান অবস্থা। যদি বর্তমান অবস্থা সন্তোষজনক হয় তাহলে পারস্পারিক ভালবাসা ও সদাচরণের সাথে ঘর-সংসার করবে; অন্যথায় তালাকের মাধ্যমে পৃথক হয়ে যাবে।
মনে রাখতে হবে, মানুষ যত বড় অন্যায় করুক না কেন তওবার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা সব অপরাধ সম্পূর্ণরূপে ধুয়ে দেন। তাই কারও অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি করা বৈধ নয় যদি সে তওবা করে নেয়।
এ ছাড়া হাদীসে আছে, কোন ব্যক্তি গোপনে পাপ করার পর যদি অন্যের সামনে তা প্রকাশ করে তাহলে সে আল্লাহর নিকট ক্ষমা পাবে না। তাই স্বামী বা স্ত্রী তার সঙ্গীর অতীত জীবনের কোন পাপাচার বা অবৈধ বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা বা তা প্রকাশ করা জায়েয নয়।
ইসলামের শিক্ষা হল, কেউ কারো অন্যায়ের কথা জেনে থাকলে তা গোপন করা করবে। কারও নিকট তা প্রকাশ করবে না। তাহলে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি ও গুনাহগুলো গোপন রাখবেন।
কেউ যদি গুনাহ করার পর তওবা করে নেয় তাহলে সেটা নিয়ে তাকে দোষারূপ করা বা খোঁচা দেয়া খুবই গহির্ত কাজ। কোন সভ্য মানুষের জন্য তা শোভনীয় নয়।
আল্লাহ তাআলা সব চেয়ে ভালো জানেন।
▬▬▬▬✪✪✪▬▬▬
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল।
(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।