১৩. স্বামীর আনুগত্য এবং তার সীমা
স্বামীর আনুগত্য এবং তার সীমা
▬▬▬▬◆◈◆ ▬▬▬▬
প্রশ্ন: স্বামীর আনুগত্য বলতে কি এটা বুঝায় যে, স্বামীর কথামত স্ত্রী চোখ বন্ধ করে তার সব কথা মেনে নেবে?
স্বামী যদি দ্বীন পালন এবং ব্যক্তিগত ব্যাপারে বাধা দেয় তাহলেও কি তার কথা মানতে হবে? যেমন, স্ত্রী রাতে ঘুমানের পূর্বে সূরা মূলক ও অন্যান্য দুআ ও জিকির পড়তে চায় কিন্তু স্বামী ঘুমের পূর্বে এ সব পড়তে দিতে চায় না। অবশ্য সে অন্য সময় কুরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারে বাধা দেয় না।
অনুরূপভাবে স্বামী চায়, স্ত্রী যেন কোন দীনি বোনের সাথে কোন যোগাযোগ না রাখে অথচ দীনি বোনদের সান্নিধ্যে থাকলে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এই সকল ব্যাপারে স্ত্রী কি স্বামীর প্রতিবাদ করতে পারবে? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর:
স্ত্রী তার স্বামীর আনুগত্য করবে যদি সে হারাম এবং সাধ্যের অতিরিক্ত কোন কাজের আদেশ না করে। সেই সাথে যথাসাধ্য তার সেবা করবে। বিপরীতে স্বামী তার থাকা, খাওয়া, পোশাক, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদির ব্যবস্থা করবে। এভাবেই পারষ্পারিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা এ বিশ্বটাকে আবাদ রাখেন।


তাইতো হাদীসে স্বামী বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার অনুমতি ছাড়া স্ত্রীকে নফল রোযা রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। নফল রোযা রাখলেও স্বামী যদি তাকে রোযা ভেঙ্গে দিতে বলে তাহলে তা ভেঙ্গে দিতে হবে।

তবে একজন দ্বীনদার স্বামীর উচিৎ, তার স্ত্রীকে এসব দুআ ও জিকির করতে সুযোগ দেয়া। কিন্তু স্বামী যদি না চায় তাহলে না করাই উত্তম হবে। সে ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীর সঙ্গ দেয়ার আগে বা পরে দুয়া ও জিকিরগুলো পড়ে নেয়ার চেষ্টা করবে।


সে ক্ষেত্রে স্বামী যদি এ যোগাযোগকে সীমিত করতে বা বন্ধ করতে চায় তাহলে এটা তার অধিকার আছে। বিষয়টি নির্ভর করছে একজন স্ত্রীর অবস্থার উপর। এ ক্ষেত্রে স্বামীর কথার মূল্যায়ন করা জরুরি। তার কথা লঙ্ঘন করলে হতে পারে, এতে দুজনের মাঝে মনমালিন্য সৃষ্টি হয়ে দাম্পত্য জীবনের সুখ বিনষ্ট হবে।

দুআ করি, আল্লাহ তাআলা যেন, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সুসম্পর্ক ও প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনকে সুখময় করেন এবং বেশি নেকি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি মূলক কার্যক্রম করার মাধ্যমে উভয়কে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করে নেন। আমীন।
●●●●●●●●●●●
*উত্তর প্রদানে:*
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, KSA
দাঈ, জুবাইর দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, KSA
No comments:
Post a Comment