তরল ভাষায় মাত্র একটা মেসেজ আসছে স্বামীকে শিক্ষা দেয়া সংক্রান্ত। সমীচিন মনে না হওয়াতে প্রকাশ করছি না। ২-১ টা কথা লিখছি।
১। আসলে স্বামী শিক্ষা দেয়ার কোনো বস্তু না। তিনি হলেন সম্মানের বস্তু, এরপর ভালবাসার বস্তু। স্ত্রীর কাছে স্বামীর চেয়ে মর্যাদাবান আর কেউ নেই আল্লাহ তায়ালা এবং তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছাড়া। এই ব্যাপারে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে বিধায় এখানে আর কোনও রেফারেন্স টানলাম না।
২। শিক্ষা দিলেও বিপদ। শিক্ষা পেতে পেতে যদি শিক্ষিত হয়ে যায় তখন কিন্তু কিছুই কেয়ার করবে না। কাজেই খুনসুটি, মান-অভিমান ঠিক আছে, কিন্তু সম্মানটা যেন না চলে যায়।
৩। স্বামী যদি শরঈ সীমার মধ্যে কিছু করতে বলে তাহলে সেটা মানা উচিত। আল্লাহ চাইলে এর দ্বারা আপনি সম্মানিত হবেন।
৪। কথা পালটা কথা, খোঁচা পালটা খোঁচার দ্বারা সম্পর্ক তিক্ত আকার ধারণ করে। গ্রুপের পোস্টগুলো দেখলে আপনি জানবেন, কত শত মেয়ের স্বামী/শাশুড়ির বিরুদ্ধে কত শত অভিযোগ। আপনার স্বামীর ব্যাপারে যদি এহেন অভিযোগ করার সুযোগ না থাকে তাহলে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করুন। মনে করুন এটা আল্লাহর নেয়ামত। নেয়ামতের কদর করুন, শুকরিয়া আদায় করুন। তাহলে আল্লাহ তায়ালা নেয়ামত বৃদ্ধি করে দিবেন। আর যদি না করেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা নেয়ামত ছিনিয়ে নিয়ে কঠিন আযাবে গ্রেফতার করবেন।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমীন।
©আহমদ রবিন৷
কাছের মানুষের সব ব্যাপারে, খুঁটিনাটি সব ইস্যুতে খুঁত খুঁত করলে একসময় আপনি তার বিরক্তের কারণ হবেন।
.
ভয় ২ প্রকারঃ- "ভালবাসা ও সম্মান থেকে ভয়" এবং "আশংকা থেকে ভয়"
প্রথম ভয়টা উপভোগ্য।
দ্বিতীয় ভয়টা একসময় ভালবাসা ও সম্মান কমিয়ে দেয়। তারপর সেখানে জায়গা করে নেয় অসম্মান, যা দীর্ঘদিন পর ঘৃণাতেও রুপান্তরিত হবার আশংকা আছে।
No comments:
Post a Comment