দ্বীনের পথে মাত্র এসেছেন? আলহামদুলিল্লাহ! এবার নিজেকে ইলমের আলোকে ঢেলে সাজানোর পালা!
.
অফলাইনে
বা অনলাইনে ভালো সিলেবাস ও যোগ্য উস্তায রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ
কোর্সে ভর্তি হোন, প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস অনুসারে ইলম অর্জন শুরু করুন।
.
অনলাইনে বা অফলাইনে উস্তাযের তত্বাবধানে ও ব্যক্তিগতভাবে কোন কোন বিষয়গুলোতে ইলম অর্জন করবেন?
কুর'আন
বিশুদ্ধ করা, আরবী ভাষা শিক্ষা গ্রহন করা, আক্বীদাহ সম্পর্কে বিস্তারিত
জানা, এক্ষেত্রে আলী খুদাইরের ও তারিফীর ব্যাখ্যাকৃত নাওয়াক্বিদুল ইসলাম,
আক্বীদাহ আত-ত্বহাবীয়্যাহ, ইমাম আহমাদের উসূলুস সুন্নাহ, মুহাম্মাদ ইবন
আব্দিল ওয়াহহাবের কিতাবুত তাওহীদ, মাসাইলে জাহিলিয়্যাহ, ফাওযানের আক্বীদাহ
আত-তাওহীদ, আহমাদ মূসা জিবরীলের তাওহীদের মূলনীতি - এগুলো দ্বারা শুরু করতে
পারেন।
.
মানহাজ ও উসূলুদ দ্বীন শিক্ষা গ্রহন করা,
হাদীসের নীতিমালা ও হাদীস শিক্ষা করা, হাদীস শিক্ষার ক্ষেত্রে শুরুটা নববীর
৪০ হাদীস ও রিয়াদ্বুস স্বলেহীন দিয়ে করতে পারেন।
.
ফিক্বহের
নীতিমালা ও ফিক্বহ শিক্ষা করা, ফিক্বহের ক্ষেত্রে শুরুতে ফিক্বহুল ইবাদাহ
সম্পন্ন করা। সীরাত পুরোপুরি মাথায় বসিয়ে নিন! একাধিক সীরাত ২-৩ দিন বার
পড়ে শেষ করুন। এক্ষেত্রে ইবনু হিশামের সীরাহ, আলী সাল্লাবীর সীরাহ,
রেইনড্রপসের সীরাহ, ইবরাহীম আলীর সীরাহ, আর রাহিকুল মাখতূম, আবুল হাসান আলী
নদভীর সীরাহ, মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদের সীরাহ সবগুলোই ১-২ বার পড়ে
শেষ করতে পারেন।
.
আদব ও যুহদ অর্জন করা। এক্ষেত্রে
আদাবুল মুফরাদ, ইমাম আহমাদ ও ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাকের কিতাবুয যুহদ
থেকে বেশ উপকৃত হতে পারবেন বি ইযনিল্লাহ।
.
আরবী
ভাষা শিক্ষা ও উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পন্ন হওয়ার পর কুর'আনের উপর বিশেষ
মনোযোগ দিন, প্রথমে সংখিপ্ত তাফসীরগুলো অধ্যয়ন করুন, এরপর রেওয়ায়েতের
তাফসীরের দিকে মননিবেশ করুন, যেমনঃ ইবন কাছীর। তাফসীর ইবন কাছীরের ক্ষেত্রে
ভালো তাখরীজ ও তাহক্বীক আছে, এমন হার্ডকপি ক্রয় করার চেষ্টা করবেন। কুর'আন
নিয়ে ভাবুন, দিনের পর দিন!
.
ইলম অর্জনের সময় বিশেষ
প্রয়োজন ছাড়া ফেসবুক ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। আপনাদের ইন্সপায়ার করার জন্য
বলছি, আমি প্রায় ২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে খুবই ইন-এক্টিভ ছিলাম। কয়েকমাস পর
পর এসে ২/৩ দিন বা সপ্তাখানেক এক্টিভ থেকে আবার বিদায় নিতাম। যারা আমাকে
২০১০-১২ থেকে চিনেন তারা এর সাক্ষী।
.
এরপর আপনার
উস্তাযরাই আপনাকে দিক নির্দেশনা দিবেন, অথবা অন্যান্য আলিমগন থেকেও দিক
নির্দেশনা নিতে পারবেন। আগে এতটুকু পথ অতিক্রম হোক, হতে পারে এই পথ অতিক্রম
করতে ২ বছর সময় লাগবে অথবা ৪-৫ বছর; যত সময়ই লাগুক না কোনো অবস্থাতেই হাল
ছাড়া যাবে না।
.
আর হ্যাঁ, দ্বীনের পথে এসে ৬ মাস, ১
বছর টুকটাক বিচ্ছিন্ন পড়াশুনা করেই যদি অন্যকে ইলম শিক্ষাদানে ব্যস্ত হয়ে
পরেন, তাহলে আপনি দুর্ভাগা! না ইলম অর্জন করতে পারলেন, আর না পারলেন ইলম
শিক্ষা দিতে! আপনি কেবলই আপনার জাহালাত বাড়ালেন আর জাহালাত শিক্ষা দিলেন!
.
আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুক, আমীন।
No comments:
Post a Comment