সেদিন কোন এক পোষ্টের কমেন্টে দেখলাম এক ভাই চ্যাইত্তা
বলতেসিল যে "নিম্নমধ্যবিত্ত/মধ্যবিত্ত হয়ে কেন ধনী টাকা পয়সাওয়ালা ঘরের
মেয়েকে বিয়ে করা যাবেনা!"
.
গত কয়েকদিন ধরে যে গরম পড়তেসে আসেন সেইটাকে বুঝানোর উদ্দশ্যে বাস্তব উদাঃ হিসেবে ব্যবহার করি_
আপনি কোন ডেডির প্রিন্সেস কে বিয়ে করলেন..!
সব ভালই চলতেসে (কোন মতে)
এখন যখন গরম পরা শুরু হলো হঠাৎ করে... সেই মেয়ে আবার AC ছাড়া থাকতে পারেনা!
আবার আপনারও বর্তমানে সেটা কেনা সামর্থের বাইরে!
ইলেক্ট্রিসিটির প্যারা তো আছেই!
কাহিনী কি হল!
প্রচ্চুর গরম, বউয়ের কাছে পাইতেছেন শরম!
.
মেয়ে যদি আত্নমর্যাদাপূর্ণা হয় তাইলে হয়তো মুখ ফোটে কিছু বলবেনা
বাট চ্যালেঞ্জ আপনি সেই পেইন খাওয়া মুখের দিকে তাকালে আপনার দুনিয়া পুরাই উল্টেপাল্টে যাবে
প্রিয়তমার এই কষ্ট আপনি হজম করতে পারবেন?!?
অভাব যখন দরজা দিয়ে আসে, রোমান্স তখন ছাদ ভেঙ্গে পালায়" (প্রবাদটা মডিফাই করলাম)
বিঃদ্রঃ বউ বেশ দ্বীনি হলে হয়তো চিত্র ভিন্ন হতে পারে
...
সেজন্যেই ‘কুফু’ বা সমতা, সমান, সাদৃশ্যতা ইত্যাদি টার্মগুলো ইসলামের বিয়ের ক্ষেত্রে জোর দেয়া হইসে।
এর কারন একটাই...আপনাদের সুখী_দাম্পত্যজীবন।
যদি আপনার লেভেলের( মধ্যবিত্ত-মধ্যবিত্ত) কেউকে আপনি "রাব্বিয়াতুল বাইত" (The Queen of the House) হিসেবে ঘরে আনেন
দেখবেন সংসারে অভাব থাকলেও সেটা টের পাবেন নাহ!
সেই কিউট কাপল যাদের ঘরে হয়তো কিছুটা অভাব থাকে-টেনেটুনে সংসার চলে যায়...কিন্তু ঘরের প্রতিটা জায়গা ভালবাসায় টুইটুম্বুর
রাসূল সা: বলেছেন,
‘তোমরা
ভবিষ্যৎ বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ করো এবং সমতা (কুফু)
বিবেচনায় বিয়ে করো, আর বিয়ে দিতে সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো’ [ইবনে মাজাহ,
হাদিস নং ১৯৬৮]
কথা কি কিলিয়ার না এখনো ভেজাল রয়ে গ্যাসে!
...
তাইলে কুফু কি???
বিয়ের ক্ষেত্রে বর-কনের রুচি, চাহিদা, বংশ, যোগ্যতা সবকিছু সমান সমান বা কাছাকাছি হওয়াকে ইসলামী পরিভাষায় কুফু বলে।
এখন
স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের রুচি, চাহিদা, অর্থনৈতিক অবস্থান খুব বেশি ভিন্ন
হলে কিন্তু সেখানে সুখী দাম্পত্যজীবন প্রতিষ্ঠা কষ্টসাধ্য!
একজন
এলিট শ্রেণির ছেলেমেয়ের চাহিদা-রুচির সঙ্গে একজন দরিদ্র বা মধ্যবিত্ত
পরিবারের ছেলেমেয়ের রুচিবোধের মিল না থাকাটাই বেশ স্বাভাবিক।
সেটা হোক ছেলে অথবা মেয়ের ক্ষেত্রে!
...
সেম দীনদারিতে সমতা রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হইসে।
আবার একজন দীনদার পাত্র-পাত্রীর সঙ্গে একজন ধর্ম বিষয়ে উদাসীন পাত্র-পাত্রীর লাইফস্টাইল মিলতে পারে না।
দীনদার চাইবে সবকিছুতে ধর্মের ছাপ থাকুক, আর দীনহীন চাইবে সবকিছু ধর্মের আবরণমুক্ত থাকুক।
সুতরাং এ দুইয়ের একত্রে বসবাস কখনো শান্তি-সুখের ঠিকানা হতে পারে নাহ।
[কুফু বা সমতার ক্ষেত্রে দীনদারির বিষয়টিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে যদি আখিরাতে সফল হতে চান]
...
আর যদি পরস্পরের মেন্টালিটি সেইম হয় তাইলে
সে সংসারও দীর্ঘস্থায়ী হবে, গ্যাঞ্জাম- ক্যাচাল কম লাগবে
No comments:
Post a Comment