Saturday, May 15, 2021

এ প্রশ্নগুলো পাত্র দেখতে গেলে আক্বীদা যাচাইয়ের জন্য বোনেরা জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

 

প্রশ্নগুলো পাত্র দেখতে গেলে আক্বীদা যাচাইয়ের জন্য বোনেরা জিজ্ঞাসা করতে পারেন

আর ভাইয়েরা নিজেদের করে শুধরে নিতে পারেন।

আচ্ছা কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজুন তোঃ

 

০১.যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ সুবহানাওয়াতায়ালার আইন বাদ দিয়ে অন্য আইনে ফায়সালা করে সে ব্যক্তি কোরান অনুযায়ী কাফের ।এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন তো,আপনি কি এ ধরনের ব্যক্তিকে কাফের মনে করেন ?

০২.যে ব্যক্তি সমকামীতাকে সমর্থন করে এবং নিজ দেশে সমকামী আইন চালু রাখে সে ব্যক্তি কাফের শরীয়া অনুযায়ী।আপনি কি তাকে কাফের মনে করেন?

০৩.যে ব্যক্তি নিজ দেশের সংবিধানে কোরানের বদলে মানবরচিত আইন সংযুক্ত করে কোরান মতে সে কাফের ।আপনি কি তাকে কাফের মনে করেন না?

০৪.যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ত্বগুতের আনুগত্য করবে সে শরীয়া মতে কুফুরি করেছে ।আপনি কি তা মনে করেন না?

০৫.যে ব্যক্তি দ্বীন কায়েমের জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের  নববী পন্থা   বাদ দিয়ে আব্রাহাম লিংকন রচিত গণতন্ত্র কিংবা এম্বিএস উদ্ভাবিত নব্য রাজতন্ত্র এর পথ অনুসরণ করে তারা কি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পন্থার উপর অবিশ্বাস করছে না তাদের কর্মে?

মনে রাখবেন ,এ দ্বীন পরিপূর্ণ।ওয়াল্লাহি ।এ দ্বীন পরিপূর্ণ।

খারেজিদের ন্যায় বাচ বিচার হীন মানুষ হত্যা যেমন সমর্থন করি না তেমনি ,

আব্রাহাম লিংকনের দ্বীনের অনুসারী বা এম্বিএস তন্ত্র বা মডারেট মোজলেমদের ন্যায় কাফেরদের প্রতি নরম ও মুসলিমদের প্রতি কঠোর নীতি লালন করি না।

এখন প্রশ্ন হলো ,এদের কাফের বলে লাভ বা ক্ষতি কি?

প্রথম ও শেষ কথা হলো ,শরীয়া অনুযায়ী যেহেতু এরা কাফের বা কুফুরি করেছে সেহেতু নিশ্চয়ই শরীয়া কোন না কোন উত্তম কারণে এদের চিহ্নিত করতে বলেছে।

এখন বলতে পারেন ,এরা অমুক অমুক ভালো কাজ তো করেছে।

এর জবাব হলো ,আল্লাহ্‌ সুবহানাওয়াতায়ালা কাফেরদের মাধ্যমেও দ্বীনের খেদমত করিয়ে নেন।

যেমন মূসা (আঃ) লালিত পালিত হয়েছিলেন কাফের ফেরাউনেরই ঘরে ।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আগলে রেখেছেন।

তাই বলে কি উনাকে কাফের বলা যাবে না?

যেখানে উনার জন্য দোয়া করতেও খোদ মহান রব নিষেধ করে দিয়েছেন।অথচ জাহান্নামের সর্বনিম্ন শাস্তি দেয়া হবে তাকে যা অতি অতি অতি ভয়াবহ।

আস্তাগফিরুল্লাহ।

আসুন আমরা সংশোধিত হই।সত্য জেনে ভুল সংশোধন করাই তো মুমিনের কাজ ।আর আকঁড়ে রাখা শয়তানের।

কেনো বিয়ের সময়  এসব যাচাই করবেন?

কারণ ,আপনি কি চান কুফুরিতে লিপ্ত এমন ব্যক্তির সাথে সংসার করতে?

শরঈ নীতি হলো ,কাফেরের সাথে মুসলিমদের বিয়ে হয় না।হয় জেনাহ।ব্যাভিচার।

আরেকটি কথা।তা হলো ,কোন মুসলিমকে কাফের বললে যেমন কাফের হতে হয় আবার কোন কাফের কে কাফের না বললেও তার দ্বীনের ব্যাপারে সংশয় বিদ্যমান।

যারা এ পয়েন্ট সমূহের বিরোধীতাই কেবল করতে চান ,তারা আশা করি প্রত্যেকটা পয়েন্টের দলীলভিত্তিক বিরোধিতা করবেন ইনশা আল্লাহ্‌ এবং তা পালটা অবিবেচ্য প্রশ্ন  না করেই ইনশা আল্লাহ্‌।

No comments:

Post a Comment