আমাকে সৃষ্টি করার আগে আমাকে একটি বার জিজ্ঞেস করা দরকার ছিলো!
ফিলোসফি বা খাটি বাংলায় যাকে দর্শন বলে সেটায় পড়াশুনা করে ঢাকা ভার্সিটির ফুয়াদ। এস. এস. সি. দিয়ে এক চিল্লা পূরণ করেছে। অন্যদিকে আবার এইচ. এস. সি.-র পর ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া শেষে ফাকা সময়টাতেও তিন চিল্লা সময় লাগিয়েছেন মাশাআল্লাহ। একেবারে দ্বীনের দ্বায়ী হয়ে গেছে। গর্ববোধ করে, ইসলাম সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান আছে নাকি তার ।
আজ তৃতীয় বর্ষে পড়ে। ফিলোসফি পড়ে তিনি নিজেই নিজের ব্রেনওয়াস করে নাস্তিক হলো প্রায় ৬ মাস হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে আলোচনা করে ইসলাম ত্যাগ করার পর ভালোই আরামে আছেন । পরকালের কোন টেনশন নেই, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের কোনো প্যারা নেই। ভালো প্রেম করা যায়, ভালো বিয়ার ক্যান খাওয়া যায়, মন্দ না। আরামভরা জীবন।
একদিন বারান্দায় বসে ছিলো ফুয়াদ ভাই। সিগারেটে টান দিতে দিতে আমাকে ডাক দিলো। আমি তখন পরবর্তী ইসলামিক ইভেন্ট এর জন্য কাজ করছিলাম। তো ফুয়াদ ভাই ডাক দিয়ে বললো: এগুলা করে কি লাভ ব্রো! মরে তো মাটির সাথেই মিশে যাবে। জাস্ট চিল, ইনজয় ইউর লাইফ ব্রাদার...!
আমি: কি যে বলেন ভাই, জান্নাতের জন্য আমলনামা ভারি করতে হবে যে! তাই তো ইসলাম নিয়েই পড়ে থাকি অলটাইম। আমার না সুন্দরবনের মধু আমার খুব ভাল্লাগে, প্রতিবছর ওখানে যেতাম, ঘুরতাম কিন্তু মূল উদ্দেশ্য ছিলো কয়েক কেজি খাটি মধু আনবো । যখনই শুনলাম জান্নাতে মধুর নহর থাকবে তখন থেকে মধু কেনার প্রতি অনীহা তৈরী হলো, টাকাটা গরিব দুঃখীদের দিতে শুরু করলাম। বলা যায় না, আল্লাহ্ খুশি হয়ে যদি আমার জন্য আরো একট্রা মধুর নহরের ব্যবস্থা করে দেন!
ফুয়াদ ভাই: হা হা হা! ভালোই পারো তোমরা!
আমি: আচ্ছা বাদ দিন! কি যেনো বলবেন! ডাক দিলেন যে!
ফুয়াদ ভাই: হ্যাঁ, কাজের কথায় আসি! আচ্ছা, কখনো কি ভেবে দেখেছো? আমাকে তোমাকে সৃষ্টি করার আগে কেনো জিজ্ঞাসা করে সৃষ্টি করা হলো না? না মানে, এতো বড় একটা প্রজেক্ট, দুনিয়াতে থাকবো, সেটার উপর নির্ভর করে অনন্তকালের পরকালে পা রাখবো, এতো কিছু করার আগে আমাদের মন্তব্য নেওয়া দরকার ছিলো না? হুট করেই সব রুহ সৃষ্টি করে, আদম কে সৃষ্টি করে, তার বংশধর বানিয়ে দিলো আমাদের? তারপর সেই আল্লাহর বিধান নিখুত ভাবে পালন করার দাবী বসিয়ে দিলো মানুষের কাধে! এটা তো একেবারে যাচ্ছেতাই হয়ে গেলো!
আমি: আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান, তিনি যা ইচ্ছা তাই করবে! ওনার ইবাদত প্রশংসা করার জন্য আমাদের সৃষ্টি করতেই পারেন!
ফুয়াদ ভাই: নাহ ব্রো, লজিকাল কথা বলো, এটা কোনো লজিকে আসলো না! আসলে তো আল্লাই নেই। কি লজিক দিবা তুমি!
আমি: আপনার পোষা প্রাণী আছে?
ফুয়াদ ভাই: হ্যাঁ আছে তো! বাসায় একজোড়া লাভ বার্ড আছে!
আমি: আপনি ঐ পাখিগুলো খাচায় বন্দী করে পালার জন্য আদৌ কি কোন অনুমতি নিয়েছেন পাখিগুলোর কাছ থেকে?
ফুয়াদ ভাই: কি বলতে চাইছো তুমি? ওদের কি মনের ভাষা প্রকাশ করার কোনো সিস্টেম আছে নাকি?
আমি: ওদের মনের ভাব প্রকাশ করার সিস্টেম নাই বলে আপনি ওদের খাচা বন্দী করে রাখবেন? পাখিগুলোর তো প্রকৃতিতে বিচরন করার কথা, এটা ওদের অধিকার! এটা কি লজিকে আসলো ভাই?
ফুয়াদ ভাই: আমার ঢিল আমাকেই ফিরিয়ে দিচ্ছো? হুম?
আমি: নাহ্ ভাইয়া, যা লজিকালি বুঝি তাই বলছি! আচ্ছা ধরুন আপনি একটা ফুল ফলের বাগান দিলেন, কল্পনা করুন ফুল ফলের বিচিগুলো বলতে শুরু করলো, আমাকে মাটিতে পুঁতে তুমি ফল ফুল বের করে নিজে উপকৃত হবে, আমি খালি গাছ কাটা আর ফল ছেড়ার যন্ত্রণাই পাবো। আমাকে তুমি মাটিতে লাগাবা না, খবরদার! তুমি শুধু লাভ নিবা আর দিনশেষে আমি মরে যাবো আমার কষ্টে ফলানো ফলগুলোর বংশধর না দেখেই!
গাছের বিচিগুলো থেকে এগুলা মন্তব্য শোনার পর আপনি কি করবেন? গাছগুলো না লাগিয়ে অনাহারে মৃত্যুর পথ বেছে নিবেন নাকি লজিকার লোক হবেন? আমি তো লজিকাল হয়ে সৃষ্টিকর্তার নিয়ামত ভেবে গাছ লাগিয়ে ফেলবো। আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ হিকমতওয়ালা! তিনি যদি আপনার দিক দিয়ে ভেবে বসে থাকতেন তাহলে কখনো কোন কিছু আর সৃষ্টি করা হতোনা ওনার!
ফুয়াদ ভাই: [কিছু ক্ষণ চুপ থেকে] এভাবে আসলে আমি কখনো ভেবে দেখিনি।
আমি: [মুচকি হাসলাম] আচ্ছা, ঠিক আছে! আপনাকে আরও একটু ভালোভাবে সন্তুষ্ট করি! রুহ গুলো সৃষ্টি করার পর সকল রুহ দুনিয়াতে আসার জন্য খুব এক্সাইটেড হয়ে গেছিলো! হাদিস শরীফ থেকে পড়েছেন নিশ্চই! কোন রুহ কার আগে দুনিয়াতে গিয়ে আমল ইমান দ্বারা পরকালের আরামে আয়েসে ডুকবে! এ জন্যে রুহগুলোর মাঝে প্রতিযোগিতা লেগে আছে।
ফুয়াদ ভাই: হ্যাঁ, এসব পড়ছিলাম একদা!
আমি: আল্লাহ্ কিন্তু সকল রুহগুলোকে বিভক্ত করে তখনি বলে দিছিলো এরা এরা জান্নাতে যাবে আর এরা এরা জাহান্নামে! তো তার পরেও কেনো সকল রুহ দুনিয়াতে আসতে চাইলো?
ফুয়াদ ভাই: হুম, ঠিকভাবে বুঝলাম বিষয়টি। আসলে রুহগুলোর স্বাভাবিক প্রবৃত্তি ওদের দুনিয়ায় আসার প্রতি বিশাল আকাঙ্ক্ষা তৈরী করেছে! তবে আমাদের অন্তত কিছু বিষয়ের উপরে ইচ্ছা প্রকাশ করার স্বাধীনতা দেওয়ার দরকার ছিলো! যেমন: কোথায় জন্ম নিবো, কার ঘরে জন্ম নিবো, কখন জন্ম নিবো, কেমন দেহ নিয়ে জন্ম নিবো, কোন জাতি ধর্ম গোত্রে জন্ম নিবো এসব আমাকে দুনিয়াতে পাঠানোর পূর্বে ইচ্ছে আগ্রহের অবকাশ দিলে কি ভালো হতো না?
আমি: তাহলে তো আরো বিশাল সমস্যা হয়ে যতো!সকল রূহ ইসলাম ধর্মে জন্মগ্রহণ করতে চাইতো। সকল রূহ সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর সময়ে জন্মগ্রহণ করতে চাইতো। সকল রূহ ইসলামের সর্বোত্তম দাওয়াত কাজ করার জন্য পুরুষ হয়ে জন্ম নিতে চাইতো। সকল রূহ সবচেয়ে ভদ্র সুশীল ও উন্নত পরিবারে জন্ম নিতে চাইতো। সকল রূহ দান খয়রাত করার জন্য ধনী পরিবারে জন্ম গ্রহণ করতে চাইতো। সকল রুহ মরুভূমি বা বরফে আবৃত দেশে জন্মগ্রহণ না করে পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর সুন্দর জায়গা কাশ্মীর কিংবা সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করতে চাইতো।
আমাদের যদি জন্মের আগেই সিদ্বান্ত নেওয়ার ইচ্ছা দেওয়া হতো তাহলে দুনিয়াতে আসার আগেই রূহ দের মধ্যেই বিশৃঙ্খলা মারামারি তৈরী হয়ে যেতো। এজন্যই আল্লাহ্ সুবহানাওয়া তায়ালা বলেন:"নিশ্চই আল্লাহর বিধান উত্তম রূপে নির্ধারিত " (সূরা আহযাব, আয়াত ৩৮)
ফুয়াদ ভাই: ঠিক আছে। আমাকে আরেকটি শেষ প্রশ্নের উত্তর দাও! কি দোষ করেছিলো যার জন্য মানুষ বিধর্মের পরিবারে জন্মগ্রহণ করে? তাদের সাথে আল্লাহ্ তায়ালার কি সত্রুতা? যারা ইসলাম ধর্মের পরিবারে ইসলাম নিয়েই জন্মগ্রহণ করে তারা সবাই ইসলাম ধর্ম নিয়েই বেঁচে থেকে মারা যান। কেউ হিন্দু পরিবারে হলে হিন্দু ধর্ম নিয়েই বেঁচে থেকে মারা যান। সকল ধর্মের মানুষেরই এভাবে জীবন যাপন করে । ০.০২% মানুষ বা তার থেকে কম যারা ধর্ম পরিবর্তন করে তাদেরকে এক্সেপসনাল বা ব্যতিক্রম হিসেবে ধরলাম। তো জন্মের পর থেকে প্রত্যেক মানুষ নিজ ধর্মের জ্ঞান অর্জন, উপলব্ধি,অনুধাবন করে বড় হয় এবং পরিণত বয়সে নিজের ধর্মকেই অন্তিম সত্য বলে বিশ্বাস করে। এটা মনোবিজ্ঞানের একটি বিষয় বলা যায়,যে ছোটবেলা থেকে তার মনে যা বুঝিয়ে শিক্ষিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয় সারাজীবন তাই তার সঙ্গে স্থায়ী থাকবে। প্রশ্ন আসে কি দোষ করেছিলো যার জন্য তারা বিধর্মের পরিবারে জন্মগ্রহণ করে? তাদের সাথে আল্লাহ্ তায়ালার কি সত্রুতা?
আমি: আচ্ছা ঠিক আছে। ধরুন,, স্বামী স্ত্রী দু জনই জন্মগতভাবে মুসলিম।তাদের দুটি সন্তান আছে যারাও মুসলিম।হঠাৎ এক কারণ বসত তারা সপরিবারে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করলেন। খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করার কয়েকমাস পর স্ত্রী গর্ভবতী হলেন! তাদের ঘরে তৃতীয় সন্তান আসবে। তো এখন সৃষ্টিকর্তা এমন কিছু কি ভাববেন যে "এদের ঘরে যদি তৃতীয় বার আরেকটি সন্তান জন্ম হয় তাহলে সে সন্তান খ্রিষ্টান হয়ে জাহান্নামী হয়ে যাবে,, তাই এদের ঘরে আর কোন সন্তানকে পাঠানো যাবে না।" আল্লাহ কখনো এমন কিছু করবে না। তাদের ধর্ম পরিবর্তন এর পর সন্তান হবে স্বাভাবিক ভাবেই। এমন যদি হতো তাহলে ইতিহাসে কেউ ইসলাম ধর্ম পরিবর্তন করতো না,, সন্তান না হওয়ার ভয়ে।ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করার পর কারো সন্তান না হলে পৃথিবীর মানুষ বুঝে যেতো এটা সৃষ্টিকর্তার কাজ। সুতরাং আমরা যে পৃথিবীতে একটি পরীক্ষার জন্য আসছি সেটা আর পরীক্ষা থাকতো না। সবাই নিজ নিজ ধর্মে জীবন যাপন করতো।ইসলাম ই হতো একমাত্র ধর্ম। এমন টা যদি হতো তাহলে বিজ্ঞান তার ব্যাখ্যা দিতে পারতো না। মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই ধর্মের প্রতি আরো বিশ্বাসী হয়ে উঠতো। দুনিয়াতে যে একটি ইমানদীপ্ত কঠিন মহাযুদ্ধ মানুষের জন্য তা আর থাকতো না।
সুতরাং, ঐ পরিবারে খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করার পরে যে সন্তানটি জন্মগ্রহণ করবে তার সাথে আল্লাহ্ এর কোন সত্রুতা নেই। আজ আমরা যে কোটি কোটি মানুষকে বিধর্মী দেখি তা কিন্ত একসময় ৫-৭ জন ছিলো, সন্তান সন্তানাদি একেক পর এক বিধর্মী হয়ে জন্মগ্রহণ করার ফলে তা আজকে এতো বড় একটা জনসংখ্যায় আসছে।
সৃষ্টিকর্তার কারো প্রতিকোন রাগ বা বিদ্বেষ নেই। আপনাকে মুসলিম ঘরে পাঠানোর পর নবজাতক হিসেবে যতটা ভালেবাসেন খ্রিস্টান ধর্মে জন্মগ্রহণ করা কাউকে তিনি ঠিক ততটাই ভালোবাসেন। পৃথিবীতে আমরাই একমাত্র প্রাণী যাদের বিবেক দেওয়া হয়েছে। সুতরাং সত্যকে বিবেক দিয়ে খুজে তার অনুসারী হতে হবে। আপনি মুসলিম ঘরে জন্ম নিছেন বলেই যে আপনাকে আল্লাহ্ আলাদাভাবে ভালোবাসেন তা কিন্ত নয়। আপনি সব সময়ই আপনার কাজ দ্বারা আল্লাহ্-এর নৈকট্য পাবেন। আজ মাত্র ৭শতাংশ মুসলিম নিয়মিত নামায পড়ে। প্রায় ১৭০ কোটির বেশি মুসলিম বেনামাজি। আপনি আপনার আমল আর ইমান পরিশেষে আল্লাহ্-এর করুণা দ্বারা নাযাত পাবেন। অতএব মুসলিম অমুসলিম কোন বিষয় না, আমেরিকার পিউ রিসার্চ সেন্টার অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলামে ফিরে আসার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, অন্যদিকে ইউনেস্কো ইসলামকে পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তির ধর্ম হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। আজ শত কোটি মুসলিম সত্যকে হাতের নাগালে পেয়েও আমল করে না, অন্যদিকে শত কোটি মুসলিমও তাই। হিন্দুদের সাথে ১২ মাসে ১৩ পার্বণের উৎসবে মাতি, পোষাকে লাইফস্টাইলে খ্রিষ্টান আবার লেবাসধারী মুসলিমের তো অভাব নেই। শিয়া, সুন্নি, সালাফি, কাদিয়ানী কত মুনাফিক মুসলিমের ভাগ বিভক্তি আছে।
ফুয়াদ ভাই: আমি তোমার কথাগুলো শুনে সত্যিই মলিন হয়ে যাচ্ছি। আমার দর্শন বিদ্যা তো শুধুই পিছু পা হাটছে। আমি এভাবে কখনো ভাবিনি। আরেকটি প্রশ্ন হলো যাদের কাছে ঠিক মতো ইসলামের দাওয়াত যাচ্ছে না তাদেরকে কেন জাহান্নামে দেওয়া হবে?
আমি: ঠিক আছে,,,ধরেন আপনি ছোট নাবালেক,,, মাত্র ৫ বছর বয়স।আপনাকে সবাই যা বুঝায় আপনি তাই বুঝেন তাই করেন। আপনার বাবা আপনাকে চুরি করার জন্য শিখিয়ে দিলেন,, তারপর আপনি চুরি করতে গিয়ে ধরা খেলেন,,, মানুষ আপনাকে জিজ্ঞাসা করলে তুমি চুরি করলে কেন? আপনি সহজাতর প্রবৃত্তি হিসেবে জবাব দিলেন বাবা শিখিয়ে দিয়েছে তাই। তখন সবাই ভাববে ছোট মানুষ বুঝেনি তাই হয়তো চুরি করেছে।
কিন্তু আপনি যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হবেন।১৮+ তখন যদি আপনি চুরি করে ধরা পড়ে এই কথা বলেন তাহলে আপনাকে সুন্দর করে মানুষ পিটিয়ে সাইজ করবে।এখন একটু নিজে ভাবুন।আবেগপ্রবণ হন।
আপনাকে অনন্ত কালের জন্য জান্নাত দেওয়া হবে আর আপনি ভাবতেছেন জান্নাতটা আপনার ঘরের বারান্দার সামনে এসে আপনাকে বুঝিয়ে শিখিয়ে দিবে? কখনো না।
আপনাকে জ্ঞান অন্বেষণ,, জ্ঞান অর্জন ও আবিষ্কার করতে হবে। জান্নাত আপনাকে অর্জন করে নিতে হবে। আপনাকে সমগ্র সৃষ্টিকুলের মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে,,,দেওয়া হয়েছে বিবেক বুদ্ধি। এগুলো এমনি এমনি দেওয়া হয়নি।পরিশেষে কোরআনের একটি উৎকৃষ্ট আয়াত দিয়ে শেষ করছি।
"তাদেরকে দেওয়া হয়েছে অন্তুর কিন্তু তা দ্বারা তারা বুঝে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তা দ্বারা তারা দেখে না এবং তাদের কান আছে কিন্তু তা দ্বারা তারা শুনে না;নিশ্চই তারাই চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায়, বরং তার চেয়েও বেশী নিকৃষ্ট। এরাই হচ্ছে গাফেল।" (সূরা আল ইমরান, আয়াত ৮৫)
"আর কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো তার পক্ষ থেকে কবুল করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। "
(সূরা আরাফ আয়াত ১৭৯)
ফুয়াদ ভাই: [অশ্রুসিক্ত কন্ঠে] আমাকে এখনি কালেমা পড়িয়ে দাও...!
আমি: সিগারেট টা ফেলে দিন! আসরের নামাযের টাইম হয়েছে! আসেন মসজিদে যাই!
জাগরণ এক্সক্লুসিভ
No comments:
Post a Comment