নতুন একটা ট্রেন্ড হচ্ছে, ফোনে বা অনলাইনে রুকইয়াহ করে দেয়া।
প্রথম কথা হল, এভাবে পুরোপুরি রুকইয়ার হক্ব আদায় করা সম্ভব না। এতে অনেক ধরনের সিচুয়েশন তৈরি হতে পারে, যেখানে রোগীর পরিবারের কিছু করার থাকবে না। উপরন্তু যদি এভাবে রুকইয়া করাটাকেই পেশা বানিয়ে নেয়া হয়, তবে বিষয়টা অনেক খারাপের দিকে মোড় নিতে পারে। বিশেষতঃ অনলাইনের প্রতারকরা এথেকে ফায়দা লুটতে পারে। আর ইতিমধ্যে লুটেছেও...।
দ্বিতীয়তঃ সালাফি আলেমদের মতে এভাবে রুকইয়াহ করা বিদআত। দেশ ও বিদেশের একাধিক আলেমকে আমি এমন ফাতওয়া দিতে শুনেছি। অথচ এখানে সালাফি/আহলে হাদিস রাক্বিরাই অহরহ ফোনে রুকইয়াহ করছে, ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন করছে। ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনে হঠাৎ একটু তিলাওয়াত করেছে এমন না, বরং ফোনে/অনলাইনেই প্রফেশনালি ঝাড়ফুঁক করছে!!
কামাই-রোজগারের জন্য নিজের আদর্শের সাথেই সৎ না থাকলে কিভাবে হবে ভাই?
....
শেষ কথাঃ আমি মোটাদাগে বিদআত না বললেও এমন বলব, এতে স্পষ্টতই বেশ কিছু খারাপি আছে, অনেক ফিতনা আর বিপদের সম্ভাবনাও আছে, তাই এথেকে দূরে থাকতে পারলেই সবচেয়ে ভাল হয়।
একটা কথা মনে রাখবেন ভাই, আপনি জায়েজের সীমার মধ্যে যতই থাকেন না কেন, সুন্নাহ থেকে যতই দূরে সরবেন, ততই নতুন নতুন সমস্যা বের হবে। আপনি হয়তো ভাববেন এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু না! এটা সুন্নাহ থেকে দূরে সরার নগদ প্রতিক্রিয়া। কিন্তু আপনি টের পাচ্ছেন না।
* এর নিরাপদ বিকল্প কি হতে পারে?
- রোগীর পরিবারের কেউ রোগীর কাছে বসে কোরআন বা দোয়া পড়বে, অথবা রুকইয়ার রেকর্ড শোনাবে। আর রাক্বি ফোনে বা অনলাইনে থেকে তাকে গাইড করবে।
وما علينا الا البلاغ
-----------
- Abdullah Almahmud
No comments:
Post a Comment