Thursday, April 22, 2021

জরুরী সতর্কতা ইফতার সম্পর্কে

 

*🌅 জরুরী সতর্কতা ইফতার সম্পর্কে 🚫*
----------------------------------------------
⬇️⬇️
👉(ক) ইফতারের শুরুতে পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন দু‘আ ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়নি।
তাই সাধারণ দু‘আ হিসাবে ইফতারের শুরুতে *‘বিসমিল্লাহ’* বলবে
(বুখারী হা/৫৩৭৬; মিশকাত হা/৪১৫৯)।
আর ‘আল্লা-হুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া ‘আলা রিযক্বিকা আফতারতু’ *মর্মে প্রসিদ্ধ দু‘আটি যঈফ*
(যঈফ আবুদাঊদ হা/২৩৫৮, ১/৩২২ পৃঃ)। অনুরূপ ‘আল্লা-হুম্মা ছুমতু লাকা ওয়া তাওয়াক্কালতু ‘আলা রিযক্বিকা... *নামে প্রচলিত দু‘আটি ভিত্তিহীন।*
আর
👇
*ইফতার শেষে বলবে,* ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ ا للّٰہُ
▪️ উচ্চারণ :
*‘যাহাবায যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উরূকু ওয়া ছাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ’।*
▪️ অর্থ :
*‘পিপাসা দূরীভূত হল, শিরাগুলো সঞ্জীবিত হল এবং আল্লাহ চাহে তো পুরস্কার নির্ধারিত হল’*
(আবুদাউদ হা/২৩৫৭, ১/৩২১ পৃঃ; মিশকাত হা/১৯৯৩)।
তবে সাধারণ দু‘আ হিসাবে শেষে ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ও বলা যাবে (মুসলিম হা/২৭৩৪)।
👉(খ) রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِذَا أَقْبَلَ اللَّيْلُ مِنْ هَاهُنَا وَأَدْبَرَ النَّهَارُ مِنْ هَاهُنَا وَغَرَبَتِ الشَّمْسُ فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ *‘পূর্ব দিক থেকে যখন রাত এসে যাবে ও পশ্চিম দিক থেকে যখন দিন চলে যাবে এবং সূর্য ডুবে যাবে, তখন ছায়েম ইফতার করবে’*
(ছহীহ বুখারী হা/১৯৫৪, ১/২৬২ পৃঃ (ইফাবা হা/১৮৩০, ৩য় খ-, পৃঃ ২৬৭); ছহীহ মুসলিম হা/২৬১৩; মিশকাত হা/১৯৮৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১৮৮৮, ৪র্থ খ-, পৃঃ ২২৫)।
*রাসূল (ছাঃ) বলেন,*
*‘দ্বীন চিরদিন বিজয়ী থাকবে, যতদিন লোকেরা ইফতার তাড়াতাড়ি করবে। কারণ ইহুদী-খ্রীস্টানরা ইফতার দেরীতে করে’*
(আবুদাউদ হা/২৩৫৩, ১/৩২১ পৃঃ; মিশকাত হা/১৯৯৫, সনদ হাসান; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১৮৯৮, ৪/২২৯ পৃঃ)।
*🚫সতর্কতা 😘
👇
অধিকাংশ সময়সূচীতে সূর্যাস্তের মূল সময়ের সাথে আরো অতিরিক্ত ৩ কিংবা ৪/৫ মিনিট বৃদ্ধি করা হয়।
মূলত ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এই কাজটি করে আবহাওয়া বিভাগের মাধ্যমে সারা দেশে প্রচার করে।
আর সেই ত্রুটিপূর্ণ সময়ই রেডিও, টিভি, পেপার-পত্রিকা ও দেশের মসজিদগুলো অনুসরণ করে থাকে।
এ জন্য পত্রিকাগুলোতে ইফতারের সময় আর সূর্যাস্তের সময় পৃথকভাবে দেয়া থাকে।
অথচ সূর্যাস্তের সময়ই ইফতারের সময়
(ছহীহ বুখারী হা/১৯৫৪, ১/২৬২ পৃঃ (ইফাবা হা/১৮৩০, ৩য় খ-, পৃঃ ২৬৭); ছহীহ মুসলিম হা/২৬১৩; মিশকাত হা/১৯৮৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১৮৮৮, ৪র্থ খ-, পৃঃ ২২৫)।
সচেতন ব্যক্তি লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন।
উক্ত ধোঁকার কারণে সাধারণ মানুষ সুন্নাতের অনুসরণ না করে দেরীতেই ইফতার করে থাকে।
*তাই রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাতের যথাযথ অনুসরণের মহান স্বার্থে সূর্যাস্তের সাথে সাথেই ইফতার করতে হবে এবং ত্রুটিপূর্ণ সময়সূচী বর্জন করতে হবে।*
👉 (গ) ইফতারের পূর্বে সম্মিলিতভাবে হাত তুলে মুনাজাত করার শারঈ কোন ভিত্তি নেই। এটি বিদ‘আতী প্রথা।
বরং
*প্রত্যেক ছায়েম নিজ নিজ দু‘আ করবে*
(ইবনু মাজাহ হা/১৭৫২, পৃঃ ১২৫)।
সেই সাথে একজন দু‘আ পড়বে আর অন্যরা আমীন আমীন বলবে এরও কোন দলীল নেই।
*ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দু‘আ কবুল হয় মর্মে যে হাদীছটি প্রচলিত আছে, তা যঈফ*
(যঈফ ইবনে মাজাহ হা/১৭৫৩, পৃঃ ১২৫)।
👇
*তবে এই অল্প সময় নয়, বরং ছুবহে ছাদিক্ব থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পুরো সময়টাই ছিয়াম পালনকারীর জন্য দু‘আ কবুলের সময়*
(বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/৬৬১৯; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহা হা/১৭৯৭; ইবনু মাজাহ হা/১৭৫২)।
তাই শুধু ইফতারের পূর্বমুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। সারাদিনই আল্লাহ কাছে দু‘আ করতে পারবে।
👉 (ঘ) মৃত ব্যক্তির নামে ইফতার মাহফিল করা যাবে না।
কারণ মৃত ব্যক্তির নামে যেটা প্রদান করা হয়, তা ছাদাক্বা।
আর ছাদাক্বা সবাই খেতে পারে না
(বুখারী হা/১৪৯৬, ১/২০২-২০৩ পৃঃ)।♻️

No comments:

Post a Comment