তিন স্ত্রী মিলে
আমাকে চতুর্থ বিয়ে করিয়েছে।
------------------------------------------------
জনাব শামসুদ্দিন। বয়স ৪৫ এর কোঠায়। সুঠাম দেহের অধিকারী মধ্যবয়সী সুপুরুষ। কয়েকমাস আগে দ্বীনি দাওয়াহ মিশনে সুদুর মালয়েশিয়া থেকে সস্ত্রিক বাংলাদেশে আসেন।
এশার সালাতের পর স্থানীয় মেজবানের সাথে সাক্ষাৎ হয়। মেহমান বললেনঃ দাঁতের ডাক্তার কাছে যাবেন। মেজবান রাহবর হিসেবে সাথে গেলেন। রিক্সায় উঠে তার প্রফেশন ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে আলোচনা হলো। মেহমান জানালেনঃ এবারের সফরে ৩য় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে এসেছেন। শুনে তো মেজবান হতবাক! কয় কী রে বেটায়?
মেজবান : কী! ৩য় স্ত্রী! আপনি কয়টা বিয়ে করেছেন?
জনাব শামসুদ্দিন : ৪টা। (খুব খুশী হয়ে)
মেজবান : তাই!!! এতগুলো বিয়ে? কীভাবে করলেন? কেন করলেন? (কন্ঠে বিস্ময় ঝড়ে পড়ছে)
মেহমান : আমি করিনি! আমার স্ত্রীরাই করিয়েছে!
মেজবান : মানে!!?
মেহমান : প্রথম স্ত্রী করিয়েছে ২য় বিয়ে। ২য় স্ত্রী আর ১ম স্ত্রী মিলে করিয়েছে ৩য় বিয়ে। এরপর ৩ জন মিলে ৪র্থ বিয়ে করিয়েছে।
মেজবান : কী বলেন! এটা কি সম্ভব?
মেহমান : আমাদের দেশে এটা কোন সমস্যা না!
মেজবান : ৪ জনকে নিয়ে থাকেন কীভাবে?
শামসুদ্দিন: এক বাসাতেই থাকি।
মেজবান : ঝগড়া হয় না?
শামসুদ্দিন : নাহ! এক প্লেটে ৪ জনকে নিয়ে সবসময় খাই।
মেজবান : সিরিয়াসলি??
মেহমান : হ্যাঁ! (কিযে এক হাসি দিলো!)
মেজবান : ছেলে মেয়ে কয়জন আপনার?
মেহমান :১৯ জন।
মেজবান : সবার বড় কে?
শামসুদ্দিন : আমার ছেলে।
মেজবান : বয়স কত তার?
ভাই শামসুদ্দিন : ২১ বছর।
মেজবান : সে কিছু বলে না? এতগুলো বিয়ে করলেন যে? শামসুদ্দিন : না! তারা আমাকে বোঝে।
মেজবান : আপনি কয় বছর পরপর বিয়ে করেছিলেন?
শামসুদ্দিন : ২২ বছর বয়সে ১ম বিয়ে। ২৭ বছরে ২য় বিয়ে। ৩২ বছর বয়সে ৩য় বিয়ে। আর ৩ বছর আগে ৪র্থ বিয়ে।
মেজবান : মেয়ে কি আপনিই পছন্দ করতেন?
শামসুদ্দিন : না! আমার পুর্বের স্ত্রীরাই মেয়ে ঠিক করে আমাকে বলত, বিয়ে করতে হবে, তারা মেয়ে ঠিক করেছে!
মেজবান : এটা কীভাবে সম্ভব? কারণ কি?
শামসুদ্দিন : কারণ প্রচুর মেয়ে অবিবাহিত। তাদের কাউকে ভাল লাগলে তাকে যেন আমি বিয়ে করি আমাকে দাবি করে বসতো।
মেজবান : কোন স্ত্রীকে বেশি ভালোবাসেন?
শামসুদ্দিন : সবাইকে!! তবে যে স্ত্রী বেশি দ্বীনি দাওয়াহ-এর ফিকির করেন, তাকে বেশি ভালো লাগে।
মেজবান : কোনজন সে?
শামসুদ্দিন : একেক সময় একেকজন বেশি ফিকির করেন। যার মধ্যে বেশি দ্বীনি চিন্তা ফিকির দেখি, তার প্রতি মহব্বত একটু বেশি আসবে, এটাই স্বাভাবিক।
মেজবান : আচ্ছা!
শামসুদ্দিন : আমার একেক স্ত্রীর একেক বৈশিষ্ট্য। প্রথম স্ত্রী ইংরেজি জানে। তাকে নিয়ে ইউরোপে দাওয়াতের কাজ করব। ২য় স্ত্রী ফ্রেঞ্চ জানে। তাকে নিয়ে ঐ অঞ্চলে যাবো। আর ৩য় স্ত্রী আরবী জানে, বাংলাও একটু আধটু শিখাচ্ছি। আর ৪র্থ স্ত্রী উর্দু, হিন্দি জানে।
মেজবান : মা শা আল্লাহ!
শামসুদ্দিন : তুমি বিয়ে করছ না কেন?
মেজবান : বাবা বলেছেন, ফুল এডুকেশন শেষ হবে, এরপর বাহিরে যেতে হবে পড়তে, এরপর নাকি! (অর্থাৎ বুড়া হলে! হায়রে কালচার! ধিক!)
শামসুদ্দিন : না! করে ফেল!!! রিযিক বেড়ে যাবে! ঈমান পুর্ণ হবে! মেজবান : জী, দুয়া করবেন।
ইতিমধ্যে আমরা গন্তব্যস্থানে পৌঁছে গেলাম।
শিক্ষণীয়- ছেলেদের জন্য-
একাধিক বিয়ের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র প্রবৃত্তির চাহিদা পুরনই নয়। দ্বীনি দাওয়াতও লক্ষ্য হওয়া উচিত।
প্রথম স্ত্রীদের মধ্যে ইনসাফ না করতে পারলে তারা এটা বুঝে নিবে আপনার দ্বারা একাধিক স্ত্রীর সাথে সৌহার্দপূর্ণ ব্যবহার সম্ভব না! একাধিক বিয়ে করার প্রথম পরীক্ষাই হচ্ছে প্রথম স্ত্রীর সাথে ইনসাফপূর্ণ ব্যবহার করা।
মাঝে মাঝে স্ত্রীকে নিয়ে একই প্লেটে একইসাথে খাওয়া যেতে পারে এতে মহব্বত বাড়ে।
শিক্ষণীয় মেয়েদের জন্য-
স্বামী একাধিক বিয়ে করলে যদি তাকে জুলুমকারী মনে করেন, তবে সবার আগে আল্লাহর রাসূল স: কে বলতে হবে। (নাউজুবিল্লাহ)
অনেক মেয়ে অবিবাহিত, বিধবা কিন্তু দ্বীনদার। তাদের নিরাপত্তার জন্য নিজ স্বামীকে ভাবতে পারাটা অত্যন্ত উঁচু মাপের আল্লাহ প্রেমিকের চরিত্রমাধুরি। যদি বলেন এটা মেয়ে হিসেবে মানা যায় না, বলবো, মিথ্যা! এটা এই দেশের হিন্দুয়ানা কালচারের প্রভাব, যা আপনার অন্তরে লালন হচ্ছে। কিক দিস ভোগাস কালচার।
সতীনদের নিয়ে একসাথে একি প্লেটে স্বামীকে খেলে আপনার ইজ্জত কমবে না, বরং বাড়বে, ইন শা আল্লাহ।
যারা এখনো ১ম বিয়েটাই করতে পারেননি, আল্লাহ আপনাদেরকে সহজ করে দিন।। আমীন।।
ইনশাআল্লাহ,,,,,
বিয়ের মাধ্যমে ---আল্লাহ সুবহানাতায়ালা হেফাজত করবেন!
No comments:
Post a Comment