আলজেরিয়ান নবদম্পতি।
পুরুষটির দু’চোখ থেকে ঠিকরে বেরোচ্ছে
আনন্দ! গর্ব! পরিতৃপ্তি!
চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে, ‘স্বপ্নে দেখা রাজকইন্যা’
উদ্ধার করে ফেরার অভিব্যক্তি।
শতভাগ ‘অবশেষে আমি পাইলাম, তাহারে পাইলাম!’
রাবিন্দ্রিক হৈমন্তিয় লাইনের সাক্ষাত বিমূর্ত প্রতিফলন।
.
ছবিটা দিয়ে এক আলজেরিয়ান (বর) লিখেছেন,
দুই পুরুষের পৌরুষে কত যোজন যোজন ফারাক!
ক. একজন চায় তার স্ত্রী প্রাণাধিকা স্ত্রী ও স্ত্রীর সৌন্দর্য একান্তই তার থাকবে। শুধুই তার। একমাত্র তার। সবসময় তার।
খ. আরেকজন চায়, তার স্ত্রী হোক বনী ইসরায়েলের ‘গাভী’।
সেটা কেমন?
একথা বলে মূলত একটি আয়াতের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আয়াতটা মাথায় না থাকলে, কথাটা বোঝা যাবে না,
إِنَّهَا بَقَرَةࣱ صَفۡرَاۤءُ فَاقِعࣱ لَّوۡنُهَا تَسُرُّ ٱلنَّـٰظِرِینَ
সে গাভী হবে এমন গাঢ় হলুদ বর্ণের, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে দেয় (বাকারা ৬৯)।
.
একজন নারী কখনোই কোনো পুরুষের কেনা সম্পত্তি নয়। পুরুষ নিজের ইচ্ছাপূরণেই নারীকে ঢেকেঢুকে রাখবে, ব্যাপারটা এমনো নয়। কারো মন যোগাতেও নারী নিজেকে ঢাকবে না। একজন নারী আল্লাহর আদেশ মানার জন্যই শুধু নিজেকে আবৃত করে চলবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্যই নিজের সৌন্দর্য বেগানা পুরুষ থেকে আড়াল করবে। একজন নারীকে তার বাহ্যিক সৌন্দর্য বা গাত্রবর্ণ দিয়ে বিচার করাও উচিত নয়। নারী বা পুরুষ যা-ই করবে, মূল থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
.
বনী ইসরায়েলের গাভীর সাথে তুলনা এক অর্থে অসম্পূর্ণ। সুন্দর রঙের গাভী দেখে, দর্শক আনন্দিত হলেও, নারীর সৌন্দর্য দেখে কি পুরুষ আনন্দিত হয়? উঁহু। সত্যিকারের পুরুষ কখনোই বেগানা নারীর সৌন্দর্যের দিকে তাকায় না। দুষ্টপুরুষই বেগানা নারীর দিকে তাকায়। বেগানা নারীর সৌন্দর্যের প্রতি লালায়িত হয়। দুষ্টমনের মনের মানুষ কখনোই বেগানা নারীর সৌন্দর্য দেখে আনন্দিত হয় না; হয় লালায়িত। হয় লোভাতুর।
No comments:
Post a Comment