রামাদানে এসব ভুল করবো না—
.
[এক.]
সাহরি খাওয়ার পর ফজরের সলাত আদায় না করে বিছানায় যাওয়া ঠিক নয়। শরীর তখন ক্লান্ত ও অলস থাকে, ফলে কাত হলেই চোখ বুজে আসে। ফজর মিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বরং এ সময়টা সামান্য হাঁটাচলা করে, ইস্তিগফার পড়ে কাটানো উত্তম।
.
[দুই.]
রামাদানে পুকুরে বা নদীতে সাঁতার কাটা থেকে বিরত থাকা উচিত। অনিচ্ছাসত্ত্বেও যদি পেটে পানি চলে যায়, তবে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। অতএব, সতর্ক থাকা দরকার। তাছাড়া, ফরজ গোসল বা সাধারণ অজুতে গড়গড় করে কুলি করা যাবে না এবং নাকের ভেতর পানি দেওয়ার সময়ও যথাযথ সতর্ক থাকতে হবে, যাতে পানি ভেতরে চলে না যায়।
.
[তিন.]
বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত ইউটিউব সার্ফিং করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ভালো কিছু দেখতে গেলেও অনেক আজে বাজে ভিডিওর সাজেশন আসবে। ইচ্ছা না থাকলেও কৌতূহল মেটাতে গিয়ে হয়ত অনেক কিছু দেখা হয়ে যাবে। রোজার মর্যাদা কমবে, অন্তর শক্ত হতে থাকবে এবং মানসিক প্রশান্তি নষ্ট হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না—গান শুনা, মুভি/নাটক দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
.
[চার.]
ফেইসবুক অ্যাপের Watch videos আইকনটি হাইড করে দেওয়া দরকার। কারণ, এই আইকনটি ফিতনার দরজা খুলে দেয়। শুরুটা হয় সাধারণ কোনো ভিডিওতে ক্লিক করে, এরপর মহাসমুদ্রে গিয়ে খাবি খেতে হয়। হরেক রকমের ভিডিও দেখতে দেখতে আধ্যাত্মিকতা হ্রাস পায়; ফলে রোজার মর্যাদা ও মাহাত্ম্য বিনষ্ট হয়।
.
[পাঁচ.]
অনেকেই রোজার দিনগুলো বেশি বেশি ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন। এটা একদমই উচিত নয়। রোজার প্রতিটি দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমাম ইবনুল জাওযি (রাহ.) বলেন, যদি কবরবাসীরা একটি দিনের জন্য দুনিয়াতে ফিরতে পারতো, তবে তারা রমাদানের কোনো একটি দিন চাইতো। তাই, যথাসম্ভব নেক আমলে সময়গুলো কাজে লাগানো উচিত।
No comments:
Post a Comment