Thursday, April 22, 2021

শিশুদের রোজা রাখা: অভিভাবক সাবধান

 

শিশুদের রোজা রাখা: অভিভাবক সাবধান!
.
শিশুরা রোজা রাখতে চাইলে তাদের নিষেধ করা যাবে না। কারণ সাহাবায়ে কিরাম (রা.) তাদের ছোট ছোট নাবালেগ সন্তানদের রোজা রাখাতেন, মাসজিদে নিয়ে যেতেন এবং তাদের জন্য তুলা, পশম ইত্যাদির খেলনা বানিয়ে দিতেন। রোজা অবস্থায় (দিনের শেষভাগে) ক্ষুধায় কান্না করলে তারা তাদের শিশুদের খেলনা দিতেন। ওরা খেলনা পেয়ে খেলতো আর খাবারের কথা ভুলে যেতো। [বুখারি, আস-সহিহ: ১৯৬০; মুসলিম, আস-সহিহ: ১১৩৬]
.
যারা নিষেধ করেন—রোজা রাখতে দেন না—তাদের ব্যাপারে আলিমগণ কঠিন কথা বলেছেন। শায়খ মুহাম্মাদ বিন সলিহ আল উসাইমিন (রাহ.) বলেন, ‘যে অভিভাবক নাবালেগ শিশুসন্তানের সিয়াম (রোজা) পালন থেকে নিষেধ করেন অথবা এ ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করেন, তিনি তাদের জন্য জালেম হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং নিজের জন্যও। হ্যাঁ, যদি তারা সাওম (রোজা) পালন শুরু করে দেওয়ার পর তিনি দেখতে পান যে, সাওম পালনে তাদের ক্ষতি হয়ে যাবে, তখন তাদেরকে তা থেকে নিষেধ করায় কোন অসুবিধা নেই।’ [ইবনু উসাইমিন, রমযান মাসের ৩০ আসর: পৃষ্ঠা- ৬২]
.
বাচ্চাদের উপর রোজা রাখা জরুরি না। তবে আমাদের পূর্বসূরি নেককারদের অনুসরণে অভিভাবকগণ নিজ নিজ নাবালেগ সন্তানকে রোজার চর্চা করাবেন, যাতে বালেগ (Adult) হওয়ার পর তাদের জন্য রোজার মত কষ্টসাধ্য ইবাদত করা সহজ মনে হয়। শহরের অনেক তরুণ আজ রোজা রাখে না; কারণ শিশু অবস্থায় তাদের রোজার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।
.
উপরে বর্ণিত হাদিস থেকে কেউ যেন এ ধারণা না করেন যে, সাহাবাদের বুঝি দয়া-মায়া কম ছিলো! ব্যাপারটি সেরকম নয়। প্রথমত, শিশুরা নিজেরাই স্বপ্রণোদিত হয়ে সাহরি খেতো এবং রোজা রাখতো, কিন্তু ক্ষুধা লাগলে শিশুরা তো কান্না করবেই। তাদের কি আর সাওমের সেই অনুভূতি আছে?
.
দ্বিতীয়ত, এটাও হতে পারে যে, বাচ্চারা রোজা না রাখতে চাইলেও মাঝেমধ্যে তাঁরা রাখাতেন, যাতে আল্লাহর আনুগত্যের অভ্যাস হয়, পরবর্তিতে ইবাদত পালন সহজ হয়।
.
[সংগৃহীত ও পরিমার্জিত]
.
মহিমান্বিত_রামাদান

No comments:

Post a Comment