Wednesday, May 5, 2021

বান্দার হক নষ্ট করার পর সঠিকভাবে মনে না থাকলে

 No photo description available.

 বান্দার হক নষ্ট করার পর সঠিকভাবে মনে না থাকলে-

প্রশ্ন : এক লোক আগে অনেক মানুষের কাছে টাকা ধার করত কিন্তু ঠিক মত পরিশোধ করত না। অনেক বছর পর তার ঈমানী চোখ খুলল, সে তওবা করল এবং এটাও বুঝতে শিখল যে, আল্লাহ বান্দার হক ক্ষমা করেন না। তাই এখন সে টাকা পরিশোধ করতে রাজি। ।কিন্তু তার সঠিক মনে নেই যে, কে কত পাবে? এমন অবস্থায় তার কী করা উচিত?

উত্তর:
বান্দার হক নষ্ট করা হলে তওবার জন্য শর্ত হল, তা তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে, তাকে না পেলে তার ওয়ারিশ (উত্তরাধীকারী)দেরকে ফেরত দিতে হবে। তাদের কাউকে না পেলে তা আল্লাহর পথে বা জনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যয় করে আল্লাহর নিকট দুআ করতে হবে যেন, তিনি এর যাবতীয় সওয়াব এর মালিককে প্রদান করেন।
যদি পরিমাণ স্বরণ করতে না পারে যে, তাহলে আনুমানিক ধারণা করবে যে, এই পরিমাণ হতে পারে। তারপর তা নিজের সম্পদ থেকে আলাদা করে দান করে দিবে। এমনভাবে করবে যেন মনে হয় যে, সে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পেরেছে। আল্লাহু আলাম।
~~~~~
⭕ কুরআন-হাদিস নিয়ে তামাশা-

প্রশ্ন :- যদি কেউ হাদিস নিয়ে হাসি তামাশা করে তাহলে তার কি ধরণের গুনাহ হয়?

উত্তর :- কুরআনের আয়াত, হাদীস বা ইসলামের কোন বিধান সম্পর্কে হাসি-তামাশা করা কুফুরী পর্যায়ের গুনাহ। কেউ জেনে বুঝে করলে মুরতাদ হয়ে যাবে। অর্থাৎ সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।
~~~~~
⭕ মেয়েদের চুল কাটা ও ছাটা:

প্রশ্ন: মেয়েদের চুল ফেলা /ছোট করার কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কি হাদিসের আলোকে জানালে উপকৃত হব ইনশাআল্লাহ।

উত্তর : হাদীসে মহিলাদের চুল মুণ্ডনে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। কিন্তু অসুখ-বিসুখ বা বিশেষ ওজরের কারণে মাথার চুল ফেলা জরুরি হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ কোন সমস্যা নেই ইনশাআল্লাহ।
আর অতিরিক্ত চুল থাকলে হালকা করা উদ্দেশ্যে স্বামীর অনুমতি স্বাপেক্ষে মহিলাদের চুল ছোট করার অনুমতি রয়েছে। তবে কাফের-ফাসেক মহিলাদের অনুসরণের উদ্দশ্যেে হলে তা জায়েয নয়। (এ বিষয়ে ইতোপূর্বে দলীল সহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।)
~~~~~
⭕ তেলাওয়াতে সেজদা বারবার তেলাওয়াত করলে-

প্রশ্ন :- আমরা যদি সুরা সাজদাহ (৩২ নাম্বার সূরা) পড়ি তাতে তিলাওয়াতের সিজদাহ আসে। এখন আমাদের কি সিজদাহ প্রতিদিন দিতে হবে?

উত্তর: এক বৈঠকে একাধিকবার সেজদার আয়াত পড়লে তেলাওয়াত শেষে একটা সেজাদাহ দিলেই যথেষ্ট। তবে একাধিক বৈঠকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পড়লে প্রতিবার সেজদা দেয়া সুন্নত।
উল্লেখ্য যে, অধিক বিশুদ্ধ মতানুসারে তেলাওয়াতে সেজদা দেয়া সুন্নত; ওয়াজিব নয়।
~~~~~
⭕ চোখ বন্ধ করে নামায-

প্রশ্ন : চোখ বন্ধ করে নামায পড়া কি জায়েজ আছে?

উত্তর : সালাতে তাশাহুদ ছাড়া সর্বদা সেজদার স্থানে দৃষ্টি নিবন্ধ রাখা সুন্নত । কেবল তাশাহুদে ডান হাতের শাহাদাত অঙ্গুলি ইশারার দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
সুতরাং সালাতে চোখ বন্ধ রাখা ঠিক নয়। তবে মুসল্লির সামনে যদি এমন কিছু থাকে যার কারণে সালাতে মনোযোগ বিঘ্নিত হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করা জায়েয আছে।

বি:দ্র:
এখানে খুব সংক্ষেপে প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে। দলীল-প্রমাণ উল্লেখ করা হয় নি। তাই কেউ যদি দলীল জানতে চায় তাহলে সে যেন নিম্নে প্রদত্ব ফেসবুকের ঠিকানার মাধ্যমে শাইখের সাথে যোগাযোগ করে।)
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আবদুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল


দাঈ, জুবাইল দাওয়া এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, ksa

 

 

 

No comments:

Post a Comment